পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পভােজ। ছিল; কিন্তু বুদ্ধির জোরে সে টমের কাছে দাড়াইতেই পারি না। এই “স্বাধীনতার সমর” প্রত্যহ সকালে প্রাতরাশের পূর্ব হইতেই আরম্ভ ইত। নিকটেই একঘর জোতদার ব্রাউনদের বাড়ীতে যােগান দিত। মাতার ইচ্ছামত প্রাতরাশের পূর্বে হােয়ে ( তক্র) খাওয়াইবার জন্য টমকে সেখানে চ্যাবিটীর হেফাজতে যাইতে হইত। টমের হােয়েতে কোন আপত্তি ছিল না, কিন্তু দইয়ের উপর তাহার প্রবল অনুরাগ ছিল। কিন্তু দই গুরুপাক বলিয়া নিষিদ্ধ ছিল। অথচ এমন দিন ছিল না যে টম চ্যারিষ্টা এবং জোতদারপত্নীর শাসন উপেক্ষা করিয়া একআধ থাবা জমাট দুই সংগ্রহ না করিত। শেষােক্ত স্ত্রীলােকটির মন ভাল ছিল, কিন্তু চেহারা ছিল কর্কশ এবং হাড়পেকে; তাহার উপর সে একটা কাল টুপী মাথায় দিয়া, টুপী হইতে ফিতা কাঁধের উপর লটপট করিয়া ঝুলাইয়া, এবং গাউন তুলিয়া পকেটের মধ্যে গুজিয়া, কাঠের জুতা পায়ে দিয়া গােশাল, পণির-ঘর, উঠানময় খট খট খুরিয়া বেড়াইত। চ্যারিটা এই বুড়ীর সুবাদে একরকম ভাইঝি হইত। কাজেই বাড়ী এবং বাগানে সর্বত্রই তাহার অবাধ তবিধি ছিল এবং বাগানে গিয়া জোতদারনন্দনের সহিত গল্পগাছা ও ফষ্টিনষ্টি করিবার সুযােগ সে ছাড়িতে পারি না। এই ছােকরা কুড়ের বেহদ্দ এবং অত্যন্ত লেদাড়ে, সে প্রায়ই কাজে যাইত না। চ্যারিটা যাই তাহার ভাইয়ের সহিত গল্প আরম্ভ করিয়াছে বা অন্য কাজে মন দিয়াছে অমনই টম সটকান দিত। তারপর মিনিট খানেকের মধ্যেই গােশালার দিক হইতে উচ্চ চীৎকার ধ্বনি উঠিত—“চ্যারিটা, চ্যারিটা, কুড়ে বেয়াড়া মেয়ে, কোথায় রয়েছিস তুই”? টম তথন তাহার গুপ্ত স্থান ত্যাগ করিয়া হাতে মুখে দই পূরিয়া বাহির হইয়া পড়িত, এবং যেখানে বড়বড় শুয়ারগুলা বিশ্রাম করিত তাহাদের বিশ্রাম ভঙ্গ করিয়া উঠানের মধ্যভাগে সারকুড়ের তলতলে - LT