পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ' । ৪৪ * টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। সংসারের প্রতি কোণটিই দরকারী। কেউ বলতে পারেনা এ কাজটা না ও কাষটা সবচেয়ে বেশী দরকারী, কিন্তু প্রত্যেকেই তার নিজেয় কোণটিতে কিছু না কিছু ভাল কাজ করূতে পারেই পারে। এবং তারপর এই সাধুব্যক্তি টম অণ্ডর-গ্র্যাজুয়েট অবস্থায় কিরূপ বিষয়ের চর্চা করিতে পারে সে সম্বন্ধে অনেক জ্ঞানগর্ভ উপদেশ দিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত অনাচার সম্বন্ধে সাবধান করিয়া দিলেন। এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল জীবনের মধ্যে যে বহু বিষয়ে বিস্তর পার্থক্য আছে তাহা ভাল করিয়া বুঝাইয়া দিলেন ; -এইরূপ কথাবার্তায় গােধুলি অন্ধকারে পরিণত হইল, এবং তাহা শুনিতে পাইলেন পলাতক তৃত্যেরা পাছদুয়ার দিয়া চুপি চুপি গৃহে প্রবেশ করিতেছে । অবশেষে টম তাহার ঘড়ী দেখিয়া বলিল “বাঃ আর্থার কোথায় গেল। এ যে এরিমধ্যে সাড়েনয়টা বেজে গেছে।” মাষ্টার মহাশয় বলিলেন “আঃ সে একাদশের সঙ্গে তােফ আরামে সমাস খাচ্ছে, পুরাণ বন্ধুদের কি তার আর মনে আছে?” বলিয়া বলিতে লাগিলেন তার সঙ্গে তােমার বন্ধুতায় আমার প্রাণে যে কি আনন্দ হয়েছে বলতে পারি না, এতে করে তােমাদের দুজনকেই গড়ে তুলেছে। টম বলিল ‘অন্ততঃ আমাকেত বটে; সে না হলে আমাকে আর এখানে এতদিন থাকতে হত না। নিতান্ত সুঘটন বলতে হবে যে সে রাগবিতে এসেছিল, এবং এসে আমার সাথী হয়েছিল।” মাষ্টার মহাশয় বলিলেন “তুমি সুঘটনের কথা কি বলছ? আমি ত জালিনা ও রকম জিনিষ সংসারে আছে কি না; অন্ততঃ এ বিষয়ে ঘটন অঘটনের কথা কিছু ছিল না।” ।