পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: - - - । । টম ব্রাউনের শেষ ম্যাচ খেলা। টম জিজ্ঞাসুভাবে তাঁহারদিকে তাকাইল। তিনি বলিতে লাগিলেন তােমার মনে আছে কি, তুমি যখন ‘সেলে’ ছিলে, এবং নানা হাঙ্গামায় পড়ছিলে, সেই এক ষাসের শেষে আচাৰ্য তােমাকে এবং ইষ্টকে ডেকে নিয়ে ভৎসনা করেছিলেন? টম বলিল “খুব মনে আছে, সে আর্থারের আসবার আগের যক্ষ্মাসে।” মাষ্টার মহাশয় বলিলেন “ঠিক কথা। এখন আমি ওর কয়েক মিনিট বাদেই তার কাছে গিয়েছিলাম, তখন তাঁকে তােমাদের দুজনের জন্য মহা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দেখলাম। কিছুক্ষণ আলাপের পর আমরা এ সম্বন্ধে একমত হলাম যে, বিশেষ করে তােমার পক্ষে, খেলাধূলা ও দুরন্তপনা ছাড়া স্কুলে আর একটা কিছু লক্ষ্য ধরতে পারা নিতান্ত দরকার, কারণ এটা। স্পষ্টই বােঝা গিয়েছিল যে নিয়মিত স্কুলের কাষ তুমি কখনই তােমার প্রধান লক্ষ্য বলে নিতে পারবে না। সেই জন্য আচাৰ্য পরবর্তী শশ্মায়ের প্রথমে নুতন ছেলেদের মধ্যে সবচেয়ে ভালটিকে বেছে নিয়ে, তােমাকে ইষ্ট থেকে পৃথক করে সেই ছােট ছেলেটিকে তােমার পড়ার ঘরে ঢুকিয়ে দিলেন, এই আশায় যে তােমার উপর নির্ভর করে এমন আর একজনকে পেলে, তুমি নিজেও একটু সংযত হয়ে আসবে এবং মনুষ্যত্ব ও বিবেচনাশীলতা লাভ করবে। আর আমি তােমাকে নিশ্চয় করে বলতে পারি যে তিনি সেই ইস্তক এই পরীক্ষার ফলসিদ্ধি অতি আনন্দের সহিত লক্ষ্য করে এসেছেন। আহা, তােমরা ছেলেরা একজনেও জান না-তােমরা তাঁহাকে কত উদ্বেগই না দিয়েছ, অথৰা কত যত্নের সহিত তিনি তােমাদের স্কুলজীবনের প্রতি পদক্ষেপ পৰ্যবেক্ষণ করে এসেছেন।” # এতক টম নির্বিশেষে আচোর্যের কাছে আত্মসমর্পণ করে নাই, অথবা তাহাকে বােঝেও নাই। প্রথম প্রথম সে তাহাকে দস্তুর মই ভয়ই করিত। কয়েক বৎসর যাবৎ, আমি যেমত দেখাইতে চেষ্টা কর্নিয়াছি, . ২৯ । - - . - - .. .. -- - .

LL 3 | | |