পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। সহিত সমর্থন করিত। সুতরাং প্রকারান্তরে তাহার পূত্রুটির জন্য অপরাধ স্বীকার করিয়া সে দুঃখিতান্তঃকরণে শিক্ষক মহাশয়ের নিকট বিদায় লইল, এবং তাহার নিকট বিদায়-উপহার স্বরূপ দুইখণ্ডে সম্পূর্ণ অতিসুন্দর বাধাই, আচার্যের ধর্মোপদেশাবলী প্রাপ্ত হইয়া সে ইস্কুলের বাড়ীতে প্রত্যাবৃত হইল, তখন সে এমনতর বীরপূজক হইয়া পড়িয়াছে যে তাহাকে দেখিয়া টমাস কারলাইলেরও চিত্তে সন্তোষ জন্মিতে পারিত। সেখানে আসিয়া দেখিল সায়মাশের স্থলে একাদশের মহা মাতামাতি জুড়িয়া দিয়াছে—জ্যাক ব্যাগলস চীৎকার করিয়া হাসির গান গাহিতেছে এবং নানারকম পালােয়ানী কষ্ট দেখাইতেছে ; সে আসিবামাত্র তাহার অপসরণে অনুযােগ ও পুনরাবির্ভাবে হর্ষমিশ্রিত তুমুল হৈ হৈ শব্দে সকলে তাহাকে অভিনন্দিত করিল। তারপর সেই রাত্রির রগড়ে যােগ দিয়া সেও অবিলম্বে তাহাদের সঙ্গে পুরামাত্রায় ছেলেমি জুড়িয়া দিল; পরে রাত্রি দশটার সময় সকলে মিলিয়া হলঘরের একখানা বেঞ্চিতে তাহাকে সােয়ারি করিয়া, কাঁধে লইয়া ওরে সে যে বড়গুণের মনের মানুষ গাহিতে গাহিতে তাহাকে চকের চারিদিকে ঘুরাইয়া আনিল; আর বুড়া টমাস ও স্কুলবাড়ীর অন্যান্য ভূতত্যর সহাভূতি বিগলিতচিত্তে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া দেখিতে লাগিল। পরদিন সকালে প্রাতরাশের পর সে ক্রিকেটের সমস্ত হিসাব মিটাইয়া, দোকানী আলাপীদের সঙ্গে দেখা করিয়া শুভ-সম্ভাষণ সহকারে তাহাদের নিকট বিদায় লইল। তারপর বেলা বারটার সময় স্কুলজীবনে ইতি দিয়া, বীরপূজা, জীবনের যে অধ্যায় দৃষ্টিপথের অন্তরালে সরিয়া যাইতেছিল তাহার নিমিত্ত সরল পরিতাপ, এবং জীবনের যে নৃতন অধ্যায়ে সে তরুণ পথিকোচিত আত্মবিশ্বাসের সহিত প্রবেশ করিতেছিল তৎসম্বন্ধে নানা আশা ও সঙ্কল্প প্রকৃতিতে দোলায়মানচিত্তে,লগুন অভিমুখে অগ্রসর হইল। 1 । f ক