পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| L. T । I সমাপ্তি। ৪৫৫ টম ওপার থেকে চীৎকার করিয়া বলিল “ওহে তুমি কি একটু আস্তে ফেলতে পার না? আমরা ত আর শুশুক ধরছিনা ? পর্যন্ত যুবক পরক্ষণেই ডাকিয়া বলিল “ওহে ব্রাউন, তােমার জন্যে এই একটা খবর আছে। তােমার পুরাণ মাষ্টার রাগবির আরণল্ড মারা। গেছেন। | ছিপ ফেলিতে ফেলিতে মধ্যপথে টমের হাত আড়ষ্ট হইয়া গেল, এবং তাহার সূতা ও টোপ দাঁড়ার চারিদিকে পাক খাইয়া জড়াইতে লাগিল; তুমি তাহাকে এক ফুয়ে উল্টাইয়া দিতে পার তখন তাহার এমনি অবস্থা ভাগ্যের কথা তাহার দিকে কাহারও লক্ষ্য ছিল

-অবশেষে একটা প্রবল উদ্যম সহকারে সে কলের মত নিজেকে সূর জড়িপটি খুলিতে নিয়ােজিত করিল। তাহার মনে হইল তাহার সমস্ত নৈতিক ও মানসিক অবলম্বন যেন শিথিল হইয়া গেল, অতি বাস্তব জগতে তাহার যে একটা পদভিত্তি ছিল তাহা যেন পায়ের তলা থেকে সরিয়া যাইতেছে। তা ছাড়া পূর্বগুরুর প্রতি তাহার গভীর প্রেমপুর্ণ নিঠা ছিল বলিয়া এই আঘাত তাহার বুকে অতি নিদারুণ ভাবে বাজিল। তাহার জীবনের এই প্রথম গুরুতর মর্মপীড়া, আত্মীয় মণ্ডলীর মধ্যে মৃত্যুদৃতকৃত এই প্রথম অবচ্ছেদ, তাহাকে নিশ্চেষ্ট, অসাড়, গতজীব করিয়া ধরাশায়ী করিয়া দিল। কিন্তু, যাই হউক, আমার বিশ্বাস ইহা তাহার ও তাহার সমাবস্থ অনেকের পক্ষে মঙ্গলের নিমিত্তই হইয়াছিল। কারণ এই বিয়ােগের দ্বারা তাহাদের বােৰা দরকার ছিল যে মানুষের আত্মা কোনরূপ মানবীয় অবলম্বন ধরিয়া গড়াইতে পারে না, তা সে অবলম্বন শক্তি, জ্ঞান ও সাধুতায় যতই কেন বরিত হউক না; তবে কিনা কেবল তাঁহাকে আশ্রয় করিয়া তাহার উপর ভর দিয়া মানুষ গড়াইতে পারে, যিনি তাঁহার জ্ঞানময় ও