পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* , পৰ্বভােঙ্গ। হইলে তাহাদের গিন্নীরা ঐদিন উহাদের মধ্যে কোন একটা রফা নিষ্পত্তি করিয়া দিবেই। সন্ধ্যার সময় কখন কখন মেলার ছাপরায় মদ্যপান এবং হীন কদাচারের অভাব হইত না বটে, কিন্তু উহা ঐ শ্রেণীর লােকের মধ্যেই নিবদ্ধ থাকিত যাহারা পৰ্বই হউক আর নাই হউক ঐরূপ কাজ করিবেই করিবে; সুতরাং মােটের উপর বলা যাইতে পারে যে পর্বের ফল খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মানুগত ও সৌজন্যবর্ধক ছিল। বস্তুতঃ এখন যে এরূপ হয় না তাহার একমাত্র কারণ এই যে ভদ্রলোক এবং জোতদারশ্রেণীর লােক এখন অন্যরূপ আমােদপ্রমােদে যােগ দিয়াছেন এবং যেমন হইয়া থাকে গরীবদের ভুলিয়া গিয়াছেন । তাহারা এখন নিজেরা আর পর্বে যােগ দেন না এবং উহাকে ইতরামি বলিয়া নিন্দা করেন। ফলে দরিদ্রদের মধ্যে ও চরিত্রবান যাহারা তাহারা ও পর্বে আসাত্যাগ করিয়াছে, সুতরাং উহা লােকে যা বলে কাজে ও তাহাই হইয়া দাড়াইয়াছে । শ্রেণীগত আমােদপ্রমােদ, তা ডিউকদিগের মধ্যেই হউক আর হালিকদের মধ্যেই হউক, অতি নিকৃষ্ট ব্যাপার, এবং দেশের অভিসম্পাতস্বরূপ হইয়া দাড়ায়। ক্রিকেট এবং শিকারের প্রকৃত মাধুৰ্য্য এই যে উহা এখন পর্যন্ত অল্পবিস্তর সামাজিক ও সার্বজনীন ভাবাপন্ন রহিয়াছে যেই আসুক অথবা যােগ দিতে চাহুক তাহারই একটা স্থান আছে। | যে বৎসর টম বেঞ্জির তত্ত্বাবধানে আসিল, সেই বৎসর যখন পৰ্বদিন সমাগত হইল তখন টমের যত আনন্দ এমন আর কাহারও নয়। গ্রামের শেষভাগে একটা মস্ত সবুজ মাঠের উপর মেলা বসিত। ফ্যারিংডনের রাস্তা উহার একপাশ দিয়া গিয়াছে, এবং রাস্তার পাশেই সেই ছােট নদীটি, এবং নদীর উপরেই বৃহৎ ঈষৎ ঢালু একখণ্ড চারণভূমি, উহার মধ্য দিয়া গির্জা প্রাঙ্গন হইতে একটা পা-পথ চলিয়া আসিয়াছে। এই