পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬ * . . উম ব্রাউনের স্কুল জীবন। সে খেলােয়াড়দের মধ্যে অল্পবয়সী, প্যারিসে সকল লােকের প্রিয়, সুতরাং তাহার খেলার এই অটুট বিক্রম দেখিয়া ঘন ঘন হর্ষধ্বনি ও করলি পড়িতে লাগিল, এবং বুঝমন্তেরা বলাবলি করিতে লাগিলেন যে ও যদি মাথা ঠাণ্ডা রাখিয়া খেলিতে পারে নিশ্চয় জিতিবে, এবং টম সহিসের কাধে বসিয়া হাতে হাত চাপিয়া উত্তেজনায় প্রায় শ্বাস রােধ করিয়া রহিল। আহা উইলিয়ম বেচারির বরাত মন্দ, তাহার প্রণয়িনী সহচরীদের সঙ্গে বীতরাগ হইয়া এতক্ষণ মেলার উঙ্গে উঙ্গে তাহার তল্লাশ করিয়া ফিরিতেছিল। এখন তাহার নঙ্গর পূরাম লড়াইয়ের মধ্যে উইলিয়মের উপরে গিয়া পড়িল । সে আরক্তিম হইয়া উঠিয়া পরক্ষণেই বিবর্ণ হইয়া গেল। তাহার বুড়ী পিসী “ছি ছি, করিস কি বাছা, তুই ওধারে যাসনি !” বলিয়া আটকাইতে গেল। কিন্তু সে জোরে তাহার হাত ছাড়াইয়া উইলিয়মের নাম ধরিয়া ডাকিতে ডাকিতে মঞ্চের দিকে ধাবিত হইল' উইলিয়ম তাহার ঠেক। সবলে তুলিয়া ধরিয়া কেবল এক নিমিষের জন্য যে দিক হইতে তাহার কণ্ঠস্বর আসিতেছিল সেই দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিল, কেবল ঠেকায় হয় না উইলিয়ম, নজর চাই। মেষপালক সেই অবসরে পাশ কাটাইয়া আসিয়া লাঠি চালাইল, তাহার লাঠির আগাট উইলিয়মের কপাল ঘেঁষিয়া গেল না, কিন্তু তাহাতেই একটুখানি চামড়া উঠিয়া গিয়ে রক্ত পড়িতে লাগিল, এবং মধ্যস্থ মহাশয় ‘সবুর হাকিলেন। এবং বেচারি উইলিয়মের ভরসা সেদিনের মত শেষ হইল। কিন্তু সে অবিচলিত চিত্তে নিজের পুরাণ হাট এবং কোটটি কুড়াইয়া লইল, এবং নামিয়া যাইতেই তাহার প্রণয়িনী তাহাকে বকিতে কিতে সমস্ত ফেসাদের বাহিরে লইয়া গেল। টম শুনিল সে মিনতি করিয়া বলিতেছে। “ঝালে কিছু দোষ নিস না, আমি কিছুতেই একাজ করতাম না, t IT ।