পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ নানা বিগ্রহ ও বন্ধি। তাহার মতে কিরূপে কাটান হইতে পারে বুঝাইয়া দিল, এবং ইহার পর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দুই জনে সমান সমান হইয়া উঠিল, কেবল হ্যারির বয়স মাস দশেক বেশী থাকায় তাহার যা সামান্য একটু জোরের প্রাধান্য রহিল। ছেলে বেলায় এই শিক্ষার ফলে টমের ভবিষ্যতে অনেক উপকার দেখিয়াছিল; বিশেষ করিয়া হ্যারি উইনবার্ণের ঐ প্যাচটিতে। বাড়ীর লাে ছাড়া ছেলেরা শনিবারে সমস্ত তল্লাটটা ঘুরিয়া বেড়াইত, কোন দিন ডাঙ্গার দিকে অথবা সেই ছাউনির দিকে যাইত, এবং সেখানে সেই গদির মত মােলায়েম ঘাসের চাপড়ায় তাহাদের নামের আদ্য অক্ষর কাটিয়া লিখিত ; অথবা বাজপাখী আকাশে উড়িত, কিম্বা ছেয়ে রঙ্গের প্লোভার পাখী, হ্যাবি উইবার্ণ যাকে ফাজিল পাখী বলিত, বরসজ্জায় জমকাল পালক মেলিয়া কেমন বাহার দিত তাহাই দেখিত। ফিরিয়া আসিবার সময় মাঞ্জার অর্থাৎ পাতনা নামক স্থানটির মধ্য দিয়া পাল্লা দিয়া দৌড়াদৌড়ি করিয়া, অনেকবার ঝােপঝাপের মধ্যে গড়াগড়ি খাইয়া, অথবা আফিংটন জঙ্গলের মধ্য দিয়া ঘােড়সােয়ারির সবুজ পথে শিয়ালের বাচ্চারা খেলা করিত তাহাই দেখিয়া বাড়ী আসিত। কখনও রােজী ব্রুক নামক ছােট নদীটির ধারে যাইত এবং তাহার ধারে সব লম্বা শর হাওয়ায় শির শির করিত তাহাই বাঁশীর জন্য কাটিয়া আনিত ; কোন দিন বা মুরমিসের দিকে যাইত-একটা পুরাণ জঙ্গলা জায়গা, তার খণ্ডিত তৃণ এবং ঝােপঝাপের মধ্যে বংশের অন্তিম প্রতিনিধি একটা প্রাচীন দ্রোণকাক এখনও বাচিয়া আছে বলিয়া প্রবাদ ছিল, সেইখানে গিয়া উকিঝুকি মারিত। কোন দিন বা বালিয়াড়ির দিকে খরগােষের ব্যর্থ সন্ধানে যাইত। আর যখন পাখীর বাসা ভাঙ্গার মরশুম আসিত তখন যাইত না এমন যায়গাই ছিল না। । । -