পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা বিগ্রহ ও সন্ধি। ভুলে গিছলাম তােমার চিঠিত জোড়া হয় নাই”। টম বেচারী নিঃশব্দে মােম লইয়া চিঠিখানি জুড়িল, দুঃখে তখন তাহার কণ্ঠরােধ হইয়া আসিতেছিল, এবং তারপর খেলার মাঠের এক নিভৃত কোণে ছুটিয়া গিয়া সে আকুল হইয়া কাদিয়া ফেলিল। তার মা যে এই চিঠিখানির জন্য দিনের পর দিন প্রত্যাশা করিয়া বসিয়া আছেন; এই চিঠিবানি দিবে বলি সে যে প্রতিশ্রুত হইয়া আসিয়াছে, হয়ত তিনি মনে ভাবিতেছেন সে প্রতিজ্ঞার কথা ভুলিয়া গিয়াছে, অথচ প্রকৃত পক্ষে সে তাহার অঙ্গীকার পালনে সাধ্য পক্ষে কিছুমাত্র ত্রুটি করে নাই, এই সকল কথা মনে করিয়া সে প্রাণে এমন একটা তীব্র বেদনা অনুভব করিয়াছিল যে সে সেরূপ বেদনা তারপর বহুদিন অনুভব করে নাই। তারপর যখন সে টের পাইল যে দুটা ছেলে তার কাছে আসিয়া দাড়াইয়া আছে এবং তাহার মধ্যে যেটা অতি হাদাগােছের তাহার দিকে আঙ্গুল দেখাইয়া “মাকাতুরে” বলিয়া পরিহাস করিতেছে, তখন তাহার রােষের আর সীমা রহিল না। লজ্জা, দুঃখ রাগে অধীর হইয়া সে উঠিয়া দাড়াইল এবং সজোরে উপহাসকারীর নাকের উপর এক ঘুষা মারিল। ঘুষির আঘাতে উহার নাক দিয়া রক্ত ঝরিল, তখন মুরুব্বি একবারে হাউ-মাউ করিয়া চীৎকার করিয়া আশারের কাছে চুটিয়া গিয়া টমের নামে অকারণ গুরুতর প্রহার করার অপরাধে নালিশ করিল। মুখে আঘাত করা অতিশয় গুরুতর দুফাৰ্য্য বলিয়া গণ্য হইত। শাস্তি ছিল বেত্রাঘাত। অন্য স্থানে আঘাত অপেক্ষাকৃত লঘু বলিয়া গণ্য হইত, যদিও এই প্রভেদের মূল সুত্রটি ধরা কঠিন। টম এযাত্রা প্রথম অপরাধী বলিয়া নিষ্কৃতি পাইল এবং তাহার পর মাকে দ্বিতীয় একখানি পত্র লিথিয়া এবং উহার মধ্যে পূর্বদিনের আৰু স্কুলের পর আহৃত ফরগেট-মি-নট (“ভুলোনা-আমায় } ফুল ।