পথের মাঝখানে সেই ভাল্লুক হাঁ করে বসে আছে, বুড়ীকে খাবে বলে। সে বুড়ী-টুড়ী কিছু দেখতে পেলে না, খালি দেখলে একটা লাউ গড়িয়ে যাচ্ছে। লাউটাকে নেড়ে-চেড়ে দেখলে বুড়ীও নয়, খাবার জিনিসও নয়। আর তার ভিতর থেকে কে যেন বলছে, ‘বুড়ী গেল ঢের দূর!’ শুনে সে ভাবলে, বুড়ী চলে গিয়েছে। তখন সে ঘোঁৎ করে তাতে দিলে এক ধাক্কা আর সেটা গাড়ির মতন গড়গড়িয়ে চলল।
লাউ চলছে আর বুড়ী তার ভিতর থেকে বলছে—
লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়,
খাই চিঁড়ে আর তেঁতুল,
বিচি ফেলি টুল্-টুল্।
বুড়ী গেল ঢের দূর!
আবার খানিক দূরে বাঘ বসে আছে বুড়ীকে খাবে বলে। সে বুড়ীকে দেখতে পেলে না, খালি দেখলে একটা লাউ গড়িয়ে যাচ্ছে। সেটাকে নেড়ে-চেড়ে দেখলে, বুড়ীও নয়, খাবার জিনিসও নয়। আর তার ভিতর থেকে কে যেন বলছে, ‘বুড়ী গেল ঢের দূর।’ শুনে সে ভাবলে বুড়ী চলে গিয়েছে। তখন সে ঘোঁৎ করে তাতে দিলে এক ধাক্কা, আর সেটা গাড়ির মতন গড়গড়িয়ে চলল।
লাউ চলছে আর বুড়ী তার ভিতর থেকে বলছে—
লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়,
খাই চিঁড়ে আর তেঁতুল,
বিচি ফেলি টুল্-টুল্।
বুড়ী গেল ঢের দূর!
আবার খানিক দূরে সেই শিয়াল পথের মাঝখানে বসে আছে। সে লাউ দেখে বললে, ‘হুঁ! লাউ কিনা আবার কথা বলে। ওর ভিতরে কি আছে দেখতে হবে।’ তখন সে হতভাগা লাথি মেরে লাউটা ভেঙেই বলে কিনা, ‘বুড়ী তোকে তো খাব!’
বুড়ী বললে, ‘খাবি বৈকি! নইলে এসেছি কি করতে? তা, আগে দুটো গান শুনবিনে?’
শিয়াল বললে, ‘হ্যাঁ, দুটো গান হলে মন্দ হয় না। আমিও একটু-আধটু গাইতে পারি।’
বুড়ী বললে, ‘তবে ভালোই হল। চল ঐ ঢিপিটায় উঠে গাইব এখন।’