ঠাকুর্দ্দা
শুনেছি ত তার চিঠি রওনা হয়ে বেরিয়েছে। সে চিঠি এখন পথে আছে।
অমল
পথে? কোন পথে? সেই যে বৃষ্টি হয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে অনেকদূরে দেখা যায় সেই ঘন বনের পথে?
ঠাকুর্দ্দা
তবে ত তুমি সব জান দেখচি, সেই পথেই ত।
অমল
আমি সব জানি ফকির।
ঠাকুর্দ্দা
তাইত দেখতে পাচ্চি—কেমন করে জানলে?
অমল
তা আমি জানিনে। আমি যেন চোখের সামনে দেখতে পাই —মনে হয় যেন আমি অনেকবার দেখেচি–সে অনেকদিন আগে— কতদিন তা মনে পড়ে না। বলব? আমি দেখতে পাচ্চি, রাজার ডাকহরকরা পাহাড়ের উপর থেকে একলা কেবলি নেমে আসচে —বা হাতে তার লণ্ঠন, কাঁধে তার চিঠির থলি। কতদিন কতরাত ধরে সে কেবলি নেমে আসচে। পাহাড়ের পায়ের কাছে ঝরণার পথ যেখানে ফুরিয়েছে সেখানে বাঁকা নদীর পথ ধরে সে কেবলি চলে আসচে—নদীর ধারে জোয়ারির ক্ষেত; তারি সরু গলির ভিতর দিয়ে দিয়ে সে কেবলি আসচে— তার পরে আথের ক্ষেত—সেই আখের ক্ষেতের পাশ দিয়ে উচু আল চলে গিয়েছে সেই আলের উপর দিয়ে সে কেবলি চলে