দেখিতে দেখিতে গােলাপের ‘সখের খানসামা’ রামদাস পানের বাটা আনিয়া গােলাপের সম্মুখে রাখিয়া দিল, এবং পার্শ্বস্থিত হুঁকার উপর হইতে একটী কলিকা উঠাইয়া লইয়া তামাক সাজিবার নিমিত্ত বাহিরে গমন করিল। গােলাপ পান তৈয়ার করিয়া প্রথমেই আমাকে দিল। উহার হস্ত হইতে পান লইতে আমার লজ্জা ও ঘৃণাবোধ হইতে লাগিল। আমি সঙ্কুচিত হইলাম, কিন্তু কেদার বাবুর অনুরােধে আমি উহা গ্রহণ করিলাম। কেদার বাবু একটী লইলেন, পরিশেষে গােলাপও আপনাকে ফাঁকি দিল না। রামদাস তামাক সাজিয়া আনিয়া একটী হুঁকা কেদার বাবুর হস্তে দিয়া প্রস্থান করিল। পান চিবাইতে চিবাইতে তিনি অল্পে অল্পে ধূমপান করিতে লাগিলেন। গােলাপ নানাপ্রকার মিষ্ট বাক্যে আস্তে আস্তে কেদার বাবুর সহিত গল্প করিতে আরম্ভ করিল; মধ্যে মধ্যে আমাকেও দুই একটা কথা জিজ্ঞাসা করিল।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।
“গােলাপের স্বর এরূপ মৃদু ও মধুর, এবং কথাবার্ত্তা এরূপ সরল, বােধ হইতে লাগিল যে, কেহই তাহাকে অবিশ্বাসিনী বা কপটাচারিণী মনে করিতে পারে না। আমি তাহার মুখ-নিঃসৃত মিষ্ট মিষ্ট কথাগুলি শ্রবণ করিয়া, মনে মনে অতিশয় সন্তুষ্ট হইলাম। এইরূপে প্রায় অর্দ্ধঘণ্টা অতি-