পাতা:ডিটেক্‌টিভ পুলিস (প্রথম কাণ্ড) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ডাক্তার বাবু।
৩৯

নিমিত্ত আমাকে এক সহস্র টাকা প্রদান করিলেন। আমি সমস্ত টাকা লইয়া কলিকাতায় আসিলাম। তাহার মধ্য হইতে ২০০৲ টাকামাত্র আমার স্ত্রীকে দিলাম, সে অতিশয় সন্তুষ্ট হইল। অবশিষ্ট টাকা গোলাপের পাদপদ্মে অর্পণ করিলাম। পনর দিন অনবরত সুরাপান ও আমোদ-প্রমোদে কাটাইলাম। দেখিতে দেখিতে আরও পনর দিন অতীত হইয়া গেল, সুতরাং পুনরায় বঙ্গদেশে যাইতে হইল। চেন বা ঘড়ী কিছুই খরিদ করিলাম না; সে কথা আমার একবার মনেও হয় নাই। মনে থাকিলেই বা কি করিতাম? যাইবার সময় গোলাপের নিকট হইতে অনেক কষ্টে ২৫টী টাকা ঋণ করিয়া লইয়া গেলাম। কার্য্যস্থানে প্রত্যাবৃত্ত হইতে অতিরিক্ত বিলম্ব হইবার জন্য জমীদার মহাশয় প্রথমে আমার প্রতি কিছু অসন্তোষভাব প্রকাশ করিলেন সত্য; কিন্তু মিষ্ট কথায় তাঁহাকে সন্তুষ্ট করিলাম।

 বড়লোক বাবুটী চেন ঘড়ীর কথা জিজ্ঞাসা করিলে তাঁহাকে বলিলাম, “মহাশয়! উৎকৃষ্ট চেন ও ঘড়ী, যাহার মূল্য প্রায় ১৫০০৲ টাকা হইবেক, তাহা আমি কেবলমাত্র ১১০০ শত টাকায় খরিদ করিয়াছি; কিন্তু নানাপ্রকার সাংসারিক গোলযোগে বিলম্ব হওয়া প্রযুক্ত তাড়াতাড়ি আসিবার কালে উহা বাটীতে ভুলিয়া আসিয়াছি। পরে এখানে আসিয়া চেন ঘড়ী ডাকে পাঠাইয়া দিবার নিমিত্ত পত্র লিখিয়াছি, চারি পাঁচদিবসের মধ্যেই বোধ হয়, উহা পাইতে পারিবেন।” বাবু অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন, সেই দিবসেই বক্রী ১০০৲ শত টাকা আমাকে পাঠাইয়া দিলেন। বলা বাহুল্য, যে, ঐ টাকা