যে, জমীদার মহাশয় ছোট লাট বাহাদুরের নিকট এই প্রার্থনা করিতেছেন যে, দেওয়ানী আদালতে তাঁহাকে আর সাক্ষী দিতে না হয়। তবে বিশেষ প্রয়োজন হইলে আদালতে তাঁহাকে স্বয়ং উপস্থিত না করাইয়া কমিশন দ্বারা তাঁহার সাক্ষ্য গৃহীত হয়। ঐ দরখাস্তে জমীদার মহাশয় স্বাক্ষর করিলেন। ডাক্তার সাহেবের দ্বারা ঐ দরখাস্ত পাঠাইতে হইবে বলিয়া, আমি উহা লইয়া সেইস্থান পরিত্যাগ করিলাম। বাহিরে যাইয়া ঐ দরখাস্ত টুক্রা টুক্রা করিয়া ছিঁড়িয়া ফেলিলাম; কিন্তু পরদিন আসিয়া বলিলাম যে, ডাক্তার সাহেব অদ্য আপনার দরখাস্ত লইয়া নিজে ছোট লাট বাহাদুরের নিকট গমন করিয়াছেন।
দ্বাদশ পরিচ্ছেদ।
এইরূপ চারি পাঁচ দিবস গত হইলে এক দিবস আমি লেপ্টেনেণ্ট গবর্ণর সাহেবের সেক্রেটরির নিজ-কথা-স্বরূপ একখানি পত্র লিখিলাম। ঐ পত্রের মর্ম্ম এই যে, ছোট লাট বাহাদুর জমীদার মহাশয়ের দরখাস্ত পাইয়াছেন, যে প্রকার আদেশ হয়, পরে জানিতে পারিবেন। এই পত্র, একখানি সরকারী খামের ভিতর বন্ধ করিয়া, তাহার উপর দুইটী পোষ্টাফিসের মোহর জাল করিলাম; এবং নিজহস্তে উহা লইয়া জমীদার মহাশয়ের বাটীতে গিয়া বলিলাম, “একজন ডাক পিয়ন এই পত্রখানি এখনই দিয়া গেল।” তিনি পত্রখানি খুলিলেন, ও