পাতা:ডিটেক্‌টিভ পুলিস (প্রথম কাণ্ড) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ডাক্তার বাবু।
৪৯

দুইখানি কাগজেই ছাপা উঠাইয়া আমাকে দিলেন। তিনি আমার ভিতরের অভিসন্ধি কিছুই বুঝিতে পারিলেন না। তাঁহার মনে এমন কোনও সন্দেহ হইল না যে, আমি তাহাকে প্রতারণা করিতেছি। সেই নির্ব্বোধ ছাপাখানাধ্যক্ষ ইহাও ভাবিলেন না যে, গবর্ণমেণ্টের নিজের বৃহৎ ছাপাখানা থাকিতে কেনই বা অন্য ছাপাখানায় এই কার্য্য হইতেছে। যাহা হউক,আমি সেই কাগজ লইয়া তাঁহাকে বলিয়া চলিয়া আসিলাম, “আফিসের সাহেবের অনুমতি লইয়া দুই একঘণ্টার মধ্যে আসিয়া, কত ছাপিতে হইবে বলিয়া যাইব। যে হিসাবে আপনি মূল্য পাইবেন, তাহাও স্থির করিয়া আসিব।” দুই ঘণ্টার মধ্যেই আমি ফিরিয়া আসিয়া তাঁহাকে বলিলাম, “মহাশয়! আমি অতিশয় দুঃখিত হইলাম যে, আমার ইচ্ছা পূর্ণ করিতে পারিলাম না। আপনার ছাপা অতিশয় সুন্দর হইয়াছে,ইহা দেখিয়া আমাদিগের অধ্যক্ষ সাহেব অতিশয় সন্তুষ্ট হইয়াছেন। কিন্তু আমি আফিসে ফিরিয়া যাইবার অর্দ্ধঘণ্টা পূর্ব্বে অন্য এক ব্যক্তির সহিত কথাবার্ত্তা স্থির হইয়া গিয়াছে, তিনি তাঁহাকে ছাপাইবার অনুমতি দিয়াছেন। এই জন্য সাহেব মহোদয় আপনাকে দিতে পারিলেন না, বলিয়া অতিশয় দুঃখিত হইলেন। তবে আসিবার সময় আমাকে বলিয়া দিলেন, ভবিষ্যতে আর যে কার্য্য হইবে, তাহা আপনাকে দেওয়া যাইবে; আর আপনার পরিশ্রমের নিমিত্ত এই ৫টী টাকা প্রদান করিয়াছেন, গ্রহণ করুন, এবং যে অক্ষর প্রভৃতি সাজান রহিয়াছে ও যে সকল কাগজে প্রথমে ছাপা উঠাইয়াছিলেন, তাহা এখনই আমার সম্মুখে নষ্ট করুন। যখন আপনার এখানে কার্য্য হইল না, তখন এখানে