পাতা:ডিটেক্‌টিভ পুলিস (প্রথম কাণ্ড) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ডাক্তার বাবু।
৬৩

ধরা ভাল হইবে।” ঔষধ খাইতে খাইতেই তাহার ভেদবমি আরম্ভ হইল। সকলেই বলিল, “ইহার কলেরা হইয়াছে।” আমিও তাহাই বলিলাম। একজন প্রধান ইংরাজ ডাক্তারকে ডাকিয়া আনিলাম, তাহাকেও কলেরা বলিয়া বুঝাইলাম; তিনিও ভাল করিয়া দেখিলেন না। ডাক্তারগণ প্রায়ই কলেরা রোগীর নিকট না যাইয়া দূর হইতেই অবস্থা শুনিয়া ঔষধের ব্যবস্থা করিয়া চলিয়া যান। ইনিও তাহাই করলেন। আমি সেই ঔষধ একটী প্রধান ঔষধালয় হইতে আনিলাম। বলা বাহুল্য, আমি নিজেই ঔষধ খাওয়াইতে লাগিলাম; কিন্তু যে ঔষধ আনিয়াছিলাম, তাহার এক এক দাগ ফেলিয়া দিয়া তাহার পরিবর্ত্তে আমার নিজের ঔষধ এক একবার খাওয়াইতে লাগিলাম।

 ব্যারাম ক্রমেই বৃদ্ধি হইতে লাগিল, ডাক্তার সাহেবকে আবার আনাইলাম; আবার সেইরূপে বুঝাইলাম, আবার সেইরূপে ঔষধ আনাইলাম এবং সেইরূপে পরিবর্ত্তন করিয়া আমার নিজের ঔষধ সেবন করাইলাম। পাঠকগণের মধ্যে হয় ত কেহ কেহ জিজ্ঞাসা করিতে পারেন যে, যখন আমার অন্যরূপ উদ্দেশ্য দেখা যাইতেছে, তখন ভাল ডাক্তার ও ঔষধ আনাইবার প্রয়োজন কি? ইহার উত্তর, বোধ হয়, আমার দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। তথাপি বলি, এরূপ অবস্থায় যদি কোন প্রকার গোলযোগ উপস্থিত হয়, পুলিস যদি কোনরূপ সন্দেহ করিয়া অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হয়, তাহা হইলে তাহাদিগের চক্ষে ধূলি দেওয়ার প্রয়োজন হইবে বলিয়াই, আমি এই পথ অবলম্বন করিলাম।