পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஆசிடி ৯৪ ডেপুটীর জীবন। হইয়াও পাঠা মহিষাদি বলি দিতেন। ইহাতে যেন একপ্রকার গৌরব অনুভব করিতেন । । তাহার কণ্ঠস্বর গভীর ও উচ্চ ছিল। রাত্রিতে উচ্চৈঃস্বরে তিনি বাড়ীতে বসিয়া কাহাকেও ডাকিলে, গ্রামের সমস্ত ভদ্রলোকপাড়ায় শোনা যাইত। 聽 o, তিনি স্বাধীনতা প্রিয় ছিলেন । পারত পক্ষে অন্তোর সহায়তা লইতেন না। তিনি সর্বদাই আমাকে একটা শিক্ষা দিতেন, যাহা আমিও জীবনে প্রায় motto করিয়া অনুসরণ করিতে চেষ্টা করিয়াছি। তিনি বলিতেন, “বলং বলং বাহুবলং নচ দৈবাৎ পরং বলং” ইহা ধ্রুব সত্য । নিজের পায়ে দাড়াইতে না। পারিলে, একমাত্র ভগবানের নিকট হইতেই বল পাওয়া, যায় । যৌবনসময়ে পিতৃদেব সংসারের অনেক সুখ সম্ভোগ করিয়াছিলেন। বাড়ীতে দুর্গোৎসবাদিও করিতেন। আমার বাল্যে বাড়ীভর ঘর’, ‘গোলাভরা ধান’, ‘গোয়াইলভরা গরু : দেখিয়াছি। সকালে পিতলের বড় এক কলসী দুধ হইত। আমি একটা গ্লাস লইয়া সম্ভদোহিত গরম ও সফেন দুগ্ধ এক গ্রাস পান করিতাম। আহাৰ্য্যের কোনই অভাব ছিল না। বেশ মুখের সংসার ছিল । কিন্তু দাদার বিবাহের সময় গৃহ দাহ হইল, বিবাহের দ্রব্য সস্তার নষ্ট হইল। সঞ্চিত ধান্তরাশি পুড়িয়া গেল। পিতৃদেব ঋণ করিয়া তখনই বিবাহ সম্পন্ন করিলেন, পুনরায় গৃহাদি প্রস্তুত হইল। কিন্তু সে সচ্ছলতা