পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন। ১৪১ AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS টাঙ্গাইল হইয়া যাইব । সে ভূত্যটা পরে পোড়াবাড়ী ষ্টীমার ঘাটে আমাদের সঙ্গে একত্র হইবে, এই কথা হইল। যাওয়ার সময় পিংনা শ্বশুর মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যাইতে হইবে । বোধ হয় ২০শে জুন ( ১৮৯২ ) বাড়ী হইতে রওনা হইলাম। সঙ্গে জানকী ও আমার শ্বশুরের মোহরার দিগিন্দ্র বাবু চলিলেন, তিনি পিংনা নিজকাৰ্য্যে যাইবেন। পথে টাঙ্গাইল সেন মহাশয় ও র্তাহার পত্নীর পদধূলি ও আশীৰ্ব্বাদ লইয় শাকরাইল তারিণী প্রভৃতির সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যথাসময়ে পোড়াবাড়ী ষ্টীমার ঘাটে পৌছিলাম। সেখানে Up steamer ধরিয়া পানিবাড়ী ষ্টেশনে যাইতে হইবে। তথা হইতে পিংনা ৩৪ মাইল উত্তরে। ষ্টীমার ঘাটে দেখি, সে ভূত্য আসে নাই। তবে বাড়ী হইতে এক জন পাচক ব্রাহ্মণ সঙ্গে আসিয়াছিল, সে আমাদের গ্রামে পাচকের কার্য্য করিত ; তখন সে দেশে যাইতেছিল, কি অন্য কোথায়ও যাইতেছিল, কতক দূর আমাদের সঙ্গে যাওয়ার বন্দোবস্ত ছিল । । যথাসময়ে আমরা ৪ জন—আমি, দিগিন্দ্র বাবু, জানকী ও পাচক ঠাকুর ষ্টীমারে উঠিলাম। সন্ধ্যার পূর্বে ষ্টীমার সিরাজগঞ্জ পন্থছিল। আমরা তিন জন জলযোগ করার জন্য বন্দরে উঠিলাম। পাচক ঠাকুর ষ্টীমারে আমাদের জিনিষের । নিকট বসিয়া রহিল। তখন আকাশ বেশ মেঘাচ্ছন্ন হইয়াছে। আমরা গল্পগুজব করিয়া রসগোল্লা ভক্ষণ করিতেছি । এমন সময় ষ্টীমারে whistle দিল, তবু আমাদের চেতনা নাই ।