পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ృప్ర్రta n ডেপুটীর জীবন । সঙ্গে দিলেন। বন্দোবস্ত হইল টমটম কুলিতে টানিয়া নিবে ( সে সময়ে ঐ জেলায় ঐরূপ প্রথাই ছিল । ) ৮৯ মাইল পর পরই কুলি বদল হইত এবং এক নূতন set নিযুক্ত হইত। আমি সাব ইনস্পেক্টর মহিম বাবুকে লইয়া সন্ধ্যার পরই রওনা হইলাম । পূর্ণিমার রজনী বেশ সম্ভোগ করিতে করিতে রাত্রি প্রভাতের সময় সেইগ্রামে পহুছিলাম। পথিমধ্যে একটী দুষ্কাৰ্য্য করা হইল। এক ক্ষুদ্র পার্বত্য স্রোতস্বতী পার হওয়ার সময় দেখিলাম তাহার মাঝখানে কে যেন এক fishing trap (চাই) পাতিয়া রাখিয়াছে। দারোগ৷ বাবু একজন কুলিকে সেইটা তুলিয়া দেখিতে আদেশ দিলেন। দেখা গেল তাহার ভিতরে “পাথরচাটা” নামক সুস্বাছ অনেকগুলি মৎস্য ধরা পড়িয়াছে। দারোগ বাবুর আদেশে ( এবং আমার গোপন সম্মতিক্রমে ) মৎস্যগুলি সবই টমটমে তুলিয়া নেওয়া হইল। যে পাহাড়ের উপর সেই মৃতদেহ ছিল, সেই পাহাড়েই প্রথম উঠিলাম । গ্রামটা সেস্থান হইতে প্রায় ১ং মাইল উত্তর পূর্বদিকে, এক গভীর পার্বত্য নদীর তীরে অবস্থিত। বেলা ৭৮টার সময় সেই পাহাড়ে উঠিলাম। পাহাড়ের ঠিক মাথার উপর (crest of the hill ) এক পরম রমণীয় স্থান দেখিলাম। তাহার চতুর্দিকে শালগাছের চারা । মাঝে একটু পরিস্কার যায়গাতে দেখিলাম, ১৭১৮ বৎসর বয়স্ক সুগঠিত ও বলিষ্ঠ-দেহ-সম্পন্ন এক সাঁওতাল নারীর মৃতদেহ উপুর হইয়া পড়িয়া আছে। মস্তকের পশ্চাৎভাগে ও সম্মুখে ২টা প্রকাণ্ড জখম বা ক্ষত।