পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৮ ডেপুটীর জীবন। “যার মানুষ সে ছাড়া কে ওকে মারতে যাবে বা মারতে পারে ?” এই কথাটা আমি শুনিলাম। এই মন্তব্যকেই ভিত্তি করিয়া আমি চিন্তা করিতে করিতে গ্রামে পৌছিলাম। সেখানে আমার বাসের জন্য গ্রামের মোস্তাজীর ও পরগণার প্রধান ব্যক্তি পরগণাইত শালপাত দিয়া দুইখানি গৃহ প্রস্তুত করিয়া রাখিয়া ছিল। সেই পার্বত্য নদীর তীরে কি মনোহর স্থান। নদী গভীর, অথচ প্রায় জলশূন্য ; তাহার বক্ষে একটী ক্ষীণ স্রোত ধীরে ধীরে প্রবাহিত হচ্ছে । ছোট ছোট মৎস্যগুলি তাহাতে ক্রীড়া করিতেছে। এক পাশ্বে পর্বর্বত, অপর পাশ্বে সমতল গ্রাম। শালপাতাবিনিৰ্ম্মিত র্তাবুর নীচে ঘাটিয়াতে বসিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলাম এবং মৃতনারীর স্বামীর সহিত আলাপ করিতে লাগিলাম। সে ভাল বাংলা বলিতে পারিত না। আমিও তখন সাঁওতালি জানিতাম না । যতদূর বুঝিলাম, তাহাতে এই বোধ হইল ঐ নারী সুশ্ৰী ( সাওতালদের মতে ) ছিল ও অপর পুরুষেরও সঙ্গে স্বাধীনভাবে বিচরণ করিত। আমি একজন প্রাচীন সাওতাল মোস্তাজীরকে বলিলাম—“এই নারীর স্বামীর প্রতি আমার সন্দেহ হয়, তুমি ইহাকে নির্জনে নিয়া ইহার সহিত আলাপ কর এবং যাহা বুঝিতে পার আমাকে আসিয়া বলিও”, সে ঐ সাঁওতালকে লইয়া কিছুদূরে গিয়া আলাপ করিতে লাগিল। প্রায় অৰ্দ্ধ ঘণ্টা পরে আসিয়া আমাকে বলিল,— “এ হত্যার অপরাধ স্বীকার করিয়া আপনার নিকট সমস্ত । বলিতে চায়, আমার নিকট সব বলে না।” আমি তাহাকে