পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন। আসিয়া ভিক্ষার্থী হন এবং তাকে ত্যক্ত করেন।” তখন ব্রাহ্মণটা চলিয়া যান। ইহার অব্যবহিত পরেই নাগ মহাশয় এই ঘটনা অবগত হইয়া ভৃত্যকে ভৎসনা করেন ও ব্রাহ্মণের উদ্দেশ্যে লোক প্রেরণ করিয়া তাহার অনুসন্ধান করেন । দুর্ভাগ্য বশতঃ তাহাকে পাওয়া যায়না । সেই হইতে তিনি অন্নাহার পরিত্যাগ করেন ও বলেন “আমার গৃহ হইতে ক্ষুধাৰ্ত্ত ব্রাহ্মণ যে অন্ন না পাইয়া চলিয়া গিয়াছে, আমি আর জীবদ্দশায় সে অন্ন গ্রহণ করিব না।” তিন বৎসর তিনি এই ভাবে ফলমূল ও দুধ খাইয়া জীবনধারণ করিলেন। ঐ ঘটনার কিছুদিন পরই তিনি তাহার দেওয়ানী পদ পুনঃ প্রাপ্ত হন। গুরুতর কার্য্যশ্রম ও ফলমূলাহারে তাহার শরীর দুর্বল হইয়া পড়িল। তখন তাহার আত্মীয় স্বগণ, গুরু পুরোহিত প্রভৃতি সকলে একত্র হইয় তাহাকে নিববন্ধতার সহিত র্তাহাদের সমবেত প্রার্থনা জানাইলেন যে র্তাহাকে অন্নগ্ৰহণ করিতে হইবে। তখন তিনি কয়েক শত ব্রাহ্মণকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া, র্তাহাদিগকে অন্ন ব্যঞ্জনাদি পরিতোষ সহকারে ভোজন করাইয় তাহাদের প্রসাদ স্বরূপ অন্ন লইয়া পুনরায় অন্নগ্রহণ করিতে লাগিলেন। তিনি নিঃসন্তান পরলোক গমন করেন। এই বংশে স্বৰ্গীয় “স্বরূপচন্দ্র নাগ” নামক একজন ছিলেন তিনি বাঙ্গলা ও ফার্সী ( পারস্য ) ভাষা এবং গণিতে মহা পণ্ডিত ছিলেন। মানসাঙ্ক, হরণ পূরণ প্রভৃতি অঙ্কশাস্ত্রে তিনি সে সময়ে অদ্বিতীয় ছিলেন। সময় সময় পাশ্ববৰ্ত্তী বহুগ্রামের