পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটার জীবন | છે সুধীগণের সঙ্গে তাহার পাণ্ডিত্যের বিচার হইত। কথিত আছে তিনি সকলকে পরাস্ত করিয়া অত্যন্ত পাণ্ডিত্যাভিমানী হইয়াছিলেন, সেইজন্য লোকে তাহাকে ‘পাগলা স্বরূপ” বলিয়া অভিহিত করিয়াছিল। তিনিও অপুত্ৰক পরলোক গমন করেন । এই নাগবংশের অন্য কেহ রাজকাৰ্য্যে কি অন্য চাকুরীতে ছিলেন কিনা জানা যায় নাই। তবে সকলেই প্রচলিত প্রথানুযায়ী লেখা পড়া শিক্ষা করিয়া নিজদের জোতজমির তত্ত্বাবধান করিতেন এবং তাহার আয় হইতেই সংসারযাত্রী নিববাহ করিতেন । এই ইতিহাস আরম্ভের সময় অর্থাৎ ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে এই গ্রামে প্রায় দশ ঘর ব্রাহ্মণ, ৪০৷৪৫ ঘর কায়স্থ ও ১০১২ ঘর শূদ্রাভিহিত কায়স্থ বাস করিতেন। তখন নাগবংশের তিন পরিবার ছিল এবং এখনও আছে। দুই পরিবার মধ্য পাড়ায় বাস করিতেন । এক পরিবারের গৃহ কালীবাড়ীর সংলগ্ন উত্তর দিকে, অপর পরিবারের গৃহ কালীবাড়ীর সংলগ্ন পশ্চিম দিকে। আর এক নাগ পরিবারের গৃহ পূর্ব পাড়ায় দক্ষিণ প্রান্তে । এই পরিবারেই আমি জন্মগ্রহণ করি । সে সময়ে ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে আমাদের পুরোহিত চক্ৰবৰ্ত্তী বংশ, অপর চৌধুরী বংশ ও সান্যাল বংশই বিশেষ প্রতিপত্তিশালী ছিলেন। কায়স্থগণ মধ্যে অনেকেই রঙ্গপুর, কুচবিহার, আসাম প্রভৃতি অঞ্চলে চাকুরী বা ব্যবসায় করিতেন। তাহারা