পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:૨૨ 8 ডেপুটীর জীবন মার্জন করিবেন।” পূজনীয়দিগকে নিকটে ডাকিয়া সকলের পদধূলি লইলেন । আমি তখন নিকটে অন্য তক্তপোষে বসিয়াছিলাম, আমার মুখের উপর স্থির সকরুণ দৃষ্টি রাখিয়া শুধু এই বলিলেন “বিমলকে রাখিয়া গেলাম”, আমাকে আর কিছু বলিলেন না। অনেক দৃষ্টিপাতের পর চক্ষু ঘুরাইয়৷ বলিলেন “আমাকে শীঘ্ৰ বাহির কর, ঘরের ভিতর যেন আমার প্রাণ-বায়ু বহির্গত না হয়।” তখন তাহাকে ভিতর আঙ্গিনার প্রশস্ত উঠানে নেওয়া হইল। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে সব ফুরাইল ! আমি মূৰ্চিছত প্রায় সেখানে দাড়াইয়া সব দেখিলাম। সন্ধ্যার পূর্বেই অন্য লোক সহ নশ্বর দেহ গ্রাম্য শ্মশানভূমিতে নিয়া গেলাম। স্বহস্তে তাহা ভস্মীভূত করিয়া গৃহে ফিরিলাম। রাত্রিতে শ্বশুর, শাশুড়ী প্রভৃতি আত্মজন সহ তাহাদের বড় ঘরে শুইলাম, যেখান হইতে শরতকে নিয়া অগ্নিদেবকে উপহার দিয়া আসিয়াছিলাম। কত অতীত, বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যত, বিষয়ের চিন্তা আসিয়া হৃদয়মনকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল । আমি তো নিজে গৃহশূন্য হইলাম, বিমলকে কোথায় রাখিব ? আমার অবশিষ্ট জীবন কিভাবে অতিবাহিত হইবে ? এই সব দুশ্চিন্তায় নিদ্রাদেবী অন্তৰ্হিত হইলেন। জীবনের এক বিশিষ্ট অধ্যায় শেষ হইল । * В. শরৎ উচ্চশিক্ষিত আধুনিক যুগের রমণী ছিলেন না। প্রায় অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূর্বে বঙ্গের হিন্দুসমাজে ভদ্রপরিবারে যেসব অাদর্শ নারী ছিলেন তাদের মত তিনিও একজন ছিলেন।