পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন । S @ দেশের বাড়ীতেও তেমনই র্তাহার সদাব্রত ছিল । অতিথিশালা সববদাই সৰ্ব্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল । বৃহৎ প্রাঙ্গণের এক পার্শ্বে হিন্দুমুসলমানদিগের পৃথক পৃথক রন্ধনশাল ছিল। ভাড়ারে সর্বদাই বহু লোকের আহাৰ্য্য মজুত থাকিত। যে কোন সময়ে যে কোন ব্যক্তি কিংবা যত লোক অতিথি আসিত তিনি অথবা তাহার কৰ্ম্মকৰ্ত্তাগণ র্তাহাদিগকে আহার করাইয় শয়নের বন্দোবস্ত করিয়া দিতেন । অনেক উচ্চ রাজকৰ্ম্মচারী ও বিশিষ্ট ভদ্রলোক অতিথি সৰ্ব্বদাই আসিতেন, তাহদের পদমৰ্য্যাদা ও বংশগৌরবানুযায়ী আহার ও শয্যার ব্যবস্থা করিতেন। সম্মানিত ব্যক্তি হইলে তাহার জন্য পোলাও মিষ্টান্ন মৎস্যাদির বিশেষ বন্দোবস্ত হইত। তিনি মাংস খাইতেন না এবং জীব হত্যা করিয়া অতিথিকে মাংস খাওয়াইতেও ব্যস্ত হইতেন না। কিন্তু মৎস্যের ব্যঞ্জনাদি এত অধিক পরিমাণে হইত যে অতিথি দেখিয় আশ্চর্য্যান্বিত হইতেন । উচ্চশ্রেণীর ভদ্রলোক অতিথিদের তাহাৰ্য্য ও পানীয় রূপার থাল বাট গ্লাসে পরিবেশিত হইত। কাপেটের আসন দেওয়া হইত। টাঙ্গাইল মহকুমার হাকিম, কখনও উকিল, মোক্তার, পোলিস ও অর্থ প্রত্যৰ্থী, সাক্ষী, মাঝি মাল্ল প্রভৃতি বহু লোক সহ সফরে আসিয়া তাহার গৃহে অতিথি হইতেন। তখন এই বহু সংখ্যক লোককে ষোড়শোপচারে খাওয়ান হইত। ইহা স্থধু এক সন্ধ্যার ব্যাপার ছিল না । সময় সময় দুই তিন দিন ব্যাপিয়া এই নিমন্ত্রণ চলিত। সেসময়ে গ্রামে রাজকৰ্ম্মচারীদের বাসের