পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>も ডেপুটীর জীবন। অন্য স্থান ছিল না । সুতরাং সকল ডিপার্টমেণ্টের লোকই সেখানে আতিথ্য গ্রহণ করিয়া পরিতৃপ্ত হইতেন। অষ্টমী স্নান ও অন্য পৰ্ব্বাদি উপলক্ষে বহু লোক এই পথে যাতায়াত করিত এবং গোবিন্দ বাবুর গৃহে অতিথি হইত। আমাদের গ্রামের ৬৭ মাইল উত্তরে “ভণ্ডেশ্বর" নামক গ্রামে একবার স্নানের এক হুজুগ হইয়াছিল। সেখানে একটী ক্ষুদ্রায়তনের হ্রদ ছিল । কতক স্বার্থপর লোক এক গুজব তুলিল, সেই হ্রদে স্বানে বহু পুণ্য সঞ্চিত হয় এবং উৎকট ব্যাধি হইতে আরোগ্য লাভ করা যায়। দলে দলে লোক সেখানে স্নান করিতে যাইত ও দেবতার উদ্দেশ্যে সেই হ্রদে টাকা পয়সা নিক্ষেপ করিত। আমার মনে হয়, কয়েক দিন ব্যাপিয়া ১০০ হইতে ৬০০ লোক প্রতি বেলায় অতিথি হইয়া “রায়বাড়ীতে” আহার করিত। গ্রামের ভদ্র লোকগণ সাগ্রহে এই বৃহৎ ব্যাপারে সহায়তা করিতেন। আর “বাইগুণ বাড়ী” নামক স্থানে অষ্টমী স্নানের সময় বহুসংখ্যক যাত্রী প্রতি বৎসর অতিথি হইত। এখনও তাহার যোগ্য পুত্ৰগণ সেই অতিথিসেবা অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছেন। গোবিন্দ বাবুর বহু সদগুণের জন্য দেশীয় সমস্ত লোক তাহার স্মৃতিকে বিশেষ শ্রদ্ধার চক্ষে দেখে । সর্বের্বাপরি তাহার এই অতিথি সৎকারের জন্য র্তাহার নাম ময়মনসিংহ জেলার ইতিহাসে স্বর্ণীক্ষরে লিখিত থাকিবে । গোবিন্দ বাবু অতি সামান্য লেখাপড়া লইয়া জীবনপথে অগ্রসর হন, কিন্তু তাহার প্রতিভা ও অধ্যবসায়, শ্রমশীলতা