পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/২৬৬

२५७ ডেপুটীর জীবন। mary wayতে বিচার করিয়া শাস্তি দিতেন। অর্থাৎ Police report ql EtzītCH FtsIETH Bost, “Fined 2 annas ;” *Fined 4 annas”... ইত্যাদি লিখিয়া রাখিতেন। আর এক অদ্ভূত উপায়ে তাহার disposalএর সংখ্যা বাড়িয়া গিয়াছিল। দেওঘর কাছারীর compoundএর ভিতর দিয়া একটা সৰ্ব্বসাধারণের চলাচলের রাস্ত ছিল। পশ্চিম ও উত্তর দিক হইতে ( অর্থাৎ বৈদ্যনাথ জংসান এবং নন্দন পাহাড়ের দিক হইতে ) যে সকল লোক ব৷ যাত্রী সহরের বা বৈদ্যনাথের মন্দিরের দিকে যাইত, তাহার এই রাস্ত দিয়া চলিত। যোগ বা মেলার সময় (শিবরাত্রি, দোল কি ভাদ্র পূর্ণিমার সময় ) হাজার হাজার যাত্রী প্রতিদিন এই পথ দিয়া মন্দিরে যাইত। প্রত্যেক মেলার । সময় ৭৮ দিন ব্যাপিয়া প্রতিদিন হাজারেরও বেশী যাত্রী এই পথে যাতায়াত করিত। তাহারা “বোম বোম, হরে হরে, বৈদ্যনাথজিকি জয়” ইত্যাদি নানাপ্রকার আনন্দধ্বনি করিয়া সেই পথ দিয়া যাতায়াত করিত। তিনি একবার নোটিশ জারি করিয়া প্রচার করিলেন, “যাত্রীগণ ঐ পথে চলিতে পারিবে না, আর যাহার বোম বোম প্রভৃতি শব্দ কি কোন কোলাহল করিয়া সে পথে যাইবে তাহাদিগকে ফৌজদারীতে সোপর্দ করা হইবে।” বিভিন্ন প্রদেশ ও জেলা হইতে যাত্রী অসিয়া সেই পথে চলিত । বৈদ্যনাথ জাংসন হইতে প্রায় যাত্রী হাটিয়া আসিত। এইটাই তাহাদের সোজা পথ। সুতরাং প্রতিদিনই বহু যাত্রী “বোম বোম” ধ্বনিতে compound মুখরিত করিয়া ঐপথে চলিত।