পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসর্গ। বাবা, প্রায় চল্লিশ বৎসর পূর্বে আপনার এই মাতৃহীন অযোগ্য সন্তানকে বিপদসঙ্কুল সংসারে অসহায় রাখিয়া আপনি আমরধামে চলিয়া গিয়াছিলেন । আমাদের জন্য বিশেষ কিছু পার্থিব ধনসম্পত্তি রাখিয়া যান নাই। কিন্তু আপনার উদারতা, সততা, সরলতা, সৌজন্য, সেবাপরায়ণতা, মানবপ্রেম প্রভূতি চরিত-মাধুর্য্যের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও পুণ্য-স্মৃতি আমি উত্তরাধিকারসূত্রে পাইয়াছিলাম তাহাই আমার জুমুল্য সম্পদ ছিল—তাহাই আমাকে জীবনপথে আলোক দেখাইয়৷ সহায়তা করিয়াছে। কিন্তু বাবা, আমি তাহার সদ্ব্যবহার করিতে পারি নাই। বাল্যে ‘আত্মনির্ভরশীলতা'র যেমন্ত্রে আমাকে দীক্ষা দিয়াছিলেন, তাহার ফলে জীবনে বিশেষ কোন সফলতা ও কৃতিত্ব লাভ করি নাই, কিন্তু আত্মপ্রসাদ পাইয়াছি। সর্বোপরি আপনার মুমুঘু সময়ের আশীৰ্ব্বাদ' জীবনে ‘রক্ষাকবচ’ হইয়া কত বিপদজাল হইতে আমাকে উদ্ধার করিয়াছে। বোধ হয়, আপনি যে-রাজ্যে আছেন, সেখান হইতেই আপনার প্রিয় সন্তান ও তাহার পরিবারের উপর স্নেহবারি সিঞ্চন করিতেছেন। | n “পিতৃ-ঋণ শোধের কোন যোগ্যতা আমার নাই। জীবনের সন্ধ্যায় কৃতজ্ঞতা, ভক্তি ও পুজার এই সামান্য অর্ঘ্য লইয়। , চরণপ্রান্তে আসিয়াছি, কৃপা-দৃষ্টিতে দেখিলেই কৃতাৰ্থ হইব। আপনার স্নেহের সন্তান ক্রীগিরিশ চন্দ্র নাগ ।