পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন সাধন করিয়া যান নাই । তবে তিনি মনে করিতেন গ্রামে তিনি একজন বিশেষ পদস্থ । র্তাহার একান্ত দুঃখ ছিল গোবিন্দ বাবুর মত সম্মান লোকে তাহাকে কেন করে না। এইজন্য গ্রামবাসী অনেক লোকের সহিত র্তাহার অসৌহার্দ্য ঘটিত। তিনি অতি সাহসী, ক্রোধপরায়ণ ও চঞ্চলমতি লোক ছিলেন । র্তাহার আত্মাভিমান সম্বন্ধে অনেক প্রকৃত গল্প কথিত আছে । একবার পূজার সময় তিনি নৌকাযোগে রংপুর হইতে বাশাইল নিজগৃহে আসিতেছিলেন। বাড়ীর নিকট আসিলে রাত্রিকালে মাল্লাগণ নৌকার ‘দার’ ( নৌকাপথ ) ঠিক না পাইয়া লোকের নিকট জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “আমরা বাশাইল মোক্তার বাবুর বাড়ী কোন দারায় যাইব ?” লোকেরা জিজ্ঞাসা করিল “সে বাড়ী কোন পাড়ায়” ? একজন মাঝি বলিল, “গোবিন্দ বাবুর বাড়ীর নিকট”, বস্থ মহাশয় বলিলেন, “গোবিন্দ বাবুর বাড়ীর নিকট আমার বাড়ী, না আমার বাড়ীর নিকট গোবিন্দ বাবুর বাড়ী ? গোবিন্দ বাবুর পরিচয়ে আমাকে গ্রামে চিনিবে, এ গ্রামে আমি যাইব না, নৌকা ফিরাইয়া চল” । তিনি বাড়ী মা আসিয়া পুনরায় রংপুর চলিয়া গেলেন। গোবিন্দ বাবু পাকা বাড়ী করিয়াছিলেন, সুতরাং বস্তু মহাশয়ও একখানা ইষ্টক নিৰ্ম্মিত গৃহ করিয়াছিলেন। তিনি প্রায় দেশে আসিতেন না। এখন তাহার বাসভূমি শূন্য ভিটাতে পরিণত হইয়াছে। রংপুরে একদা এক ডিপুটী মাজিষ্ট্রেটকে এক মোকদ্দমার বিচারফল লক্ষ্য করিয়া বলিয়াছিলেন, “হুজুর, বড় দুঃখ বোধহয়, এই