পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ ৬ ডেপুটীর জীবন। eAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAS মূৰ্ত্তি লইয়াই বিরাজ করিতেন। “ম, তুমি কেন চলে গেলে । তুমি কি ভেবে ছিলে তোমার এই অযোগ্য সন্তানের সেবা ভক্তি, আদর যত্ন তুমি পাবেন ? মা, কত দিন তোমাকে স্বপ্ন দেখেছি, কিন্তু তোমার চেহারা ঠিক ধরতে পারি নাই । বসে আছি ভরসা নিয়ে, শীঘ্ৰ তোমার সঙ্গে মিলব, তোমার কোলে বসব, তোমার স্তন পান করবো, তোমার কাছে আবদার করবো, তোমাকে ত্যক্ত করে ছাড়বো, এই যে ৬০ বৎসর তোমার স্নেহ হতে বঞ্চিত, হুদ শুদ্ধ সে স্নেহ আদায় করবো । আচ্ছা মা, তুমি কি গোপনে আমার কাছে থাকতে ? বোধ হয় থাকতে ; তা না হ’লে শৈশব, যৌবন ও বাদ্ধক্যের সহস্ৰ বিপদ হ’তে কেমন ক'রে বঁাচলাম ? মা, তুমি চলে যাবার সময় আমাকে কি অমূল্য আশীৰ্ববাদ দিয়ে গিয়েছিলে ? ম-মরা ছেলে তাই এত দীঘ ৬০ বৎসর বেঁচে আছি। শুধু বেঁচে নয়, সুস্থ ও সবল আছি। শুধু দেহে সুস্থ নয়, মনেও অনেকটা সুস্থ আছি । আর সংসারক্ষেত্রে ভগবৎকৃপায় ও তোমার আশীৰ্ববাদে কতনা সম্পদ, সুখ, স্বচ্ছন্দত ভোগ করিলাম । কতলোকের আদর, যত্ন, স্নেহ, প্রীতি পাইলাম । জীবনে ধনোপার্জন বেশী না হইলেও যেটুকু হইয়াছে তাহ আমার যোগ্যতা অপেক্ষা অনেক বেশী। আর কখনও তো অভাব হয় নাই । সততার সহিত যাহা উপার্জন করিয়াছি তাহাতেই আমি তোমার নিকট ও জগজ্জননীর নিকট কত কৃতজ্ঞ। মনে আত্মপ্রসাদের গবর্ব জাগিয়া উঠে। মাগো, এখনও তো স্বর্গ