পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন לכי9וס বাঙ্গলার মেজোতে লোহার উনুনে রান্না হইল। “কোন্দা” বা “সরঙ্গ” নৌকায় কাছারীতে গেলাম। এইভাবে ২৩ দিন চলিল, পরে ক্রমশঃ জল কমিয়া গেল। । একবার Green boatএ কেন্দুয়া থানার অন্তর্গত স্থান সমূহে tour করিতে গেলাম। উকিল, মোক্তার, আমলা, পোলিস, পক্ষগণ নৌকা করিয়া সঙ্গে অনুসরণ করিতেছিল। ময়মনসিংহের উকীল বাবু বাণেশ্বর পত্রনবিশ B. L. মহাশয়ের গ্রামে গেলাম। র্তাহার বাড়ীর লোক আমাদিগকে ( উকীল প্রভৃতি সমস্ত ভদ্রলোকদিগকে ) আহারের নিমন্ত্রণ করিলেন। আমি যাইতে অসন্মত হইলাম। বাণেশ্বর বাবুর মাত বলিয়া পাঠাইলেন, তিনি আমার সঙ্গে দেখা করিতে চান। আমি তাদের বাড়ী গেলাম, তখন তিনি এমন নিৰ্ব্বন্ধ সহকারে অনুরোধ করিতে লাগিলেন যে, আমি খাইতে স্বীকার করিলাম । রাত্রিতে আমরা প্রায় ১০০ লোক খাইতে বসিলাম। বাড়ীর মেয়ের স্বহস্ত প্রস্তুত খাদ্য সকল নিজেরাই এই অপরিচিত। অতিথিবৃন্দকে র্তাহাদের আপন মাতা বা ভগ্নীর ন্যায় নিঃসঙ্কোচে, পরিবেশন করিতে লাগিলেন। তাদের রান্নাও উপাদেয় হইয়াছিল। ঐ দৃশ্বট দেখিয়া এত আনন্দ লাভ করিয়াছিলাম যে তাহা জ্ঞাপন করার জন্যই এখানে কথাটা লিখিলাম। পাড়াগায়ের এই সরল, অমায়িক, নিঃস্বার্থ আতিথ্য ক্রমে লোপ পাইতেছে । ১৯০৫।১০ই জুন ( বাঙ্গলা ১৩১২২৭শে জ্যৈষ্ঠ ) আমার তৃতীয় কন্যা (বৰ্ত্তমানে জ্যেষ্ঠা ) শ্ৰীমতী রেণুপ্ৰভা জন্মগ্রহণ