পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«Φίσω ডেপুটীর জীবন। কিন্তু সর্বদা চট পায় দেওয়ার অভ্যাস ছিল না। রাত্রিতে প্রবলশীতে সকলকেই বড় অতিষ্ঠ করিল। বাড়ীখানি বৃহৎ হইলেও নানা অসুবিধাজনক মনে হইল। তখন বড়পেটার comfortable livingএর কথা মনে করিয়া আমাদের দুভাগ্যকে অভিসম্পাত করিতে লাগিলাম। যা হউক, পর দিন charge লইয়া কার্য্যে নিযুক্ত হইলাম। একটা ফৌজদারী মোকদ্দমাও নিষ্পত্তি করিলাম। পর দিন সকালে ডিপুটী কমিশনার আমাকে ডাকাইয়া বলিলেন, “তোমার পুনরায় বড়পেটা যাইতে হইবে, অদ্যই §f charge make over করিয়া তোমার যাওয়ার বিষয় বড়পেটা টেলিগ্রাম কর” । আমি ধন্যবাদ দিয়া বাসায় ফিরিলাম। গৃহিণী শুনিয়া আহলাদিত হইলেন। বড়পেটা পরদিনই রওনা হইব বলিয়া টেলিগ্রাম করিলাম। তখনও জিনিষপত্র সব খোলা হয় নাই । বেলা দশটার সময় আমরা কামেখ্য দর্শনে রওনা হইলাম । কামেখ্যা পাহাড়ের দক্ষিণদিকে যে পাথরের সিড়ি আছে, তাহা অত্যন্ত steep বলিয়া অনেকে পরামর্শ দিলেন, উত্তরদিকে ব্ৰহ্মপুত্র হইতে যে রাস্ত মন্দিরে উঠিয়াছে তাহ অপেক্ষাকৃত সহজ এবং রুগ্ন প্রফুল্লের পক্ষে স্থবিধাজনক হইবে। সুতরাং নৌকাযোগে উত্তরপ্রান্তে গিয়৷ সেই রাস্তাদিয়া উঠিলাম। কামেখ্যার পূজা দেওয়৷ হইল। পাণ্ড প্রফুল্লকে তাহাদের বাড়ী নিয়া অন্ন ব্যঞ্জনাদি ও দেবীর প্রসাদ ছাগমাংসের ঝোল প্রভৃতি দ্বারা আহার কামেখ্যা মন্দির।