পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন 읽있》 একখানা appreciative চিঠী লিখিয়া আমি বড়পেটা ছাড়িয়া প্রকাশ করিলেন । ১৯০৯ সনের ৩রা মে আমি বড়পেটা সাবডিভিসনের charge make over Ff El Gië strië নৌকাযোগে খোলাবাধা রওনা হইলাম। এই বিদায় যাত্রা বড় বড়পেটা ত্যাগ। প্রাণস্পর্শী হইয়াছিল। সহরবাসী বহু লোক তাহাদের শুভ ইচ্ছা জ্ঞাপন করিয়া বিদায় দিতে বাঙ্গলায় উপস্থিত হইলেন। অশীতিপর বৃদ্ধ প্রাচীনতম উকীল রামদাস বাবু আমাকে বলিলেন “বাঙ্গালীর প্রতি আমরা সহজে অনুরক্ত হই না। কিন্তু তোমার ন্যায় বিচার ও স্বশাসনে আমরা তোমাকে আপন জন মনে করিতাম। তুমি সৰ্ব্বসাধারণের প্রীতি ও আশীৰ্ব্বাদ লইয়া এস্থান ছাড়িতেছ। বড়পেটাকে মাঝে মাঝে স্মরণ করিও ।” আমি বড় affected হইলাম। আমি ও গৃহিণী বিষন্নমনে নৌকারোহণ করিলাম। পথে যাইতে আমার পূর্ব পরিচিত পথ, জঙ্গল, নদী প্রভৃতি সমস্তই প্রিয়তর বোধ হইতে লাগিল। আমরা খোলাবাধা পহুছিলে দেখিলাম, সর্ববানন্দ বাবু তথায় অনেক লোক সঙ্গে উপস্থিত। তিনি আমাদের রাস্তায় আহার জন্য ২ টিন ভরিয়া প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড মাগুর মৎস্য দিলেন। আমরা গভীর বিষাদের মধ্যে ষ্টীমারে আরোহণ করিয়া পোড়াবাড়ীর পথে যাত্রা করিলাম । - তৃতীয় দিন পোড়াবাড়ী পহুছিয়া শাকরাইল হইয়া পঞ্চম দিনে বাড়ী পহুছিলাম। বাড়ীতে ২॥ মাসের অধিক রহিলাম।