পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন। 8 సె aspiration বা আকাঙ্ক্ষা সম্বন্ধে সহানুভূতি প্রকাশ করিতেন, দেশীয় লোকদের সহিত বন্ধুভাবে মিশিতেন। এই সব কারণে নাকি গবর্ণমেণ্ট তাহার প্রতি একটু বিসদৃশভাব পোষণ করিতেন। সুতরাং দেশীয় লোকদের সহিত সহানুভূতি, সদ্ব্যবহার প্রভৃতি কতকগুলি ‘দোষ তিনি বর্জন করিবেন এরূপ ইচ্ছা লইয়াই বোধ হয় বরিশাল আসিয়াছিলেন। কেননা ঐ প্রকার দোষের ফলে র্তাহার services prospects নষ্ট হইতে যাচ্ছিল। র্তাহার সহিত আলাপপ্রলাপে তাহার এই মনের ভাব কতকটা জানিতে পারা গিয়াছিল। কিন্তু তত্ৰাপি তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ, সজ্জন লোক ছিলেন। লোকের স্বভাব বা nature একবারে বদলায় না। র্তাহার একটী বিশেষ গুণ এই ছিল যে পোলিসের সদসৎ সকল কাৰ্য্যই তিনি চক্ষু বুজিয়া সমর্থন করিতেন না। সেইজন্যই পোলিসের সহিত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তিনি যত দিন কলেক্‌টার ছিলেন, আমি কিছু দিন নির্বিঘ্নে কাৰ্য্য করিতে সক্ষম হইয়াছিলাম, যদিও পরিণামে আমার অনিষ্টই হইয়াছিল। দৃষ্টান্ত স্বরূপ দুএকটা ঘটনার উল্লেখ করিতেছি। পিরোজপুর মহকুমার কোন থানার হেড, কনেষ্টবল ও সাইনস্পেক্টারের নামে এক মুসলমান স্ত্রীলোক এক গুরুতর অভিযোগ আনয়ন করে। তাহার স্বামী ১১০ ধারার এক মোকদ্দমায় ফেরার ছিল। ' পোলিস অফিসারগণ তাহার স্বামীর অনুসন্ধান করিতে গিয়া তাহাকেই গ্রেপ্তার করিয়া সাবইনস্পেক্টরের পোলিসের সহিত সংঘর্ষ।