পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন। 8 Rసె উত্তীর্ণ হইলেও গাছে ফল ধরিত না । সে মানত করিল, ‘এবার যদি ফল হয়, আমি প্রথম ফল অশ্বিনী বাবুকে উপহার দিব । দৈবক্রমে সেবার তাহার গাছে কয়েকট কাঠাল ধরিয়াছিল। সে বেচারা ১৩১৪ মাইল দূর হইতে একটা কাঠাল মাথায় বহিয়া এক দিন অশ্বিনী বাবুর বাড়ী আসিয়া সেই কাঠাল তাহার পদপ্রান্তে রাখিয়া এক সাষ্টাঙ্গ প্ৰণিপাত করিল। তিনি তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিয়া বলিলেন “তুমি দূর হইতে কষ্ট করিয়৷ এই কাঠালটা আমাকে দিতে আসিয়াছ কেন ?” সে সমস্ত ইতিহাস বলিল, তিনি হাসিয়া আকুল । সহরের অনতিদূরে কোন গৃহস্থের বাড়ীতে এক মুসলমান বিধবা রমণী এক দুগ্ধবতী গাভী কিনিয়াছিল, দুধ বেচিয়া জীবনযাত্রা নির্ববাহ করিবে আশায় । কিন্তু দেখিল গাভীর দুগ্ধ পাওয়া দুর্ঘট । দোহন করিতে গেলেই সে দোহনকারীকে লাথি মারিয়া সরাইয়া দিত। বেচারা বিধবা মানত করিল, “আহা, যদি গাভীটা সায়েস্ত হইয়া সহজে দোহাইতে দেয়, আমি প্রথম দিনের দুধ অশ্বিনী বাবুকে খাইতে দিব” । দুএক দিন পরেই ঐ গাভী শান্তভাবে দোহনকারীকে দোহাইতে দিল । তখনই ঐ বিধবা সেই দোহনপাত্রেই দুধ লইয়া অশ্বিনী বাবুর নিকট গিয়া হাজির হইল ও সমস্ত বৃত্তান্ত খুলিয়া বলিল । অশ্বিনী বাবু স্মিতমুখে বলিলেন “জান কি, এই গাভীটা আমার মার মত। আমি তার মানুষ বৎস, প্রথম আমাকে দুধ না দিলে সে তোমাকে দুধ খেতে দিবে কেন ?”