পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন। 8Ե-Պ লাগিল। সারেঙ্গ ষ্টীমার ছাড়িয়া দিল। কিছু দূর অগ্রসর হইয়াই আমরা প্রকৃত সমুদ্রে পতিত হইলাম। দিগন্ত প্রসারিত নীলাম্বুরাশির বিচিত্ৰশোভায় হৃদয়, মন মুগ্ধ হইয় গেল। কিছু সময় পূর্বে প্রতি মুহূৰ্ত্তে মৃত্যুর প্রতীক্ষা করিতেছিলাম, তারপরই ভগবান সেই মৃত্যু হইতে রক্ষা করিয়া, তাহার স্বপ্তির এক অপূর্ব মহিমা উপভোগ করিতে অধিকার দিলেন। বিচিত্র তাহার লীলা। কৃতজ্ঞতায় হৃদয় পূর্ণ হইয়া গেল। সকলকে লইয়া উপাসনা করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। মেয়ের হারমোনিয়াম বাজাইয়া কৃতজ্ঞতা-জ্ঞাপক সঙ্গীত করিতে লাগিল। বরিশালের মনোমোহন বাবুর রচিত “ভয় কি আমার ?” সঙ্গীতটও গীত হইল। মেয়েরা ক্ষুৎপিপাসায় ক্লান্তঅবস্থায়ও আনন্দ ও কৃতজ্ঞতার সহিত অনেকগুলি গান গাইল । তৎপর আমাদের প্রাতরাশ হইল। অল্প অল্প বৃষ্টি হইতেছে ; সমুদ্রবক্ষে চলিতে চলিতে একপাশে চট্টগ্রামের মনোহর পর্বতমালা ও বেলাভূমি, অপরপাশ্বে অনন্ত জলরাশি ও ভীষণ তরঙ্গভঙ্গির শোভা দেখিতে লাগিলাম। এই সময় আমি এই বিপদসঙ্কুল সমুদ্রযাত্রার বৃত্তান্তটা লিখিলাম। পরে বরিশালের ‘ব্রহ্মবাদীতে ইহ প্রকাশিত হইয়াছিল। ক্রমে আকাশ পরিস্কার হইয়া বৃষ্টি ছাড়িল । আমরা বেলা ১১টার সময় কর্ণফুলির মোহনায় উপস্থিত হইলাম, সেইখানে ঐ স্রোতস্বতী সাগরে পতিত হইয়াছে। এই সাগরসঙ্গমও বিচিত্র এবং মনোহর। দক্ষিণপার্থে এক অনুন্নত শৈল শৃঙ্গ সাগরের পানে তাকাইয়া বোধ হয় তাহার