পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন । 8 ○ সেন মহাশয় টাঙ্গাইল ওকালতী করিতেন। টাঙ্গাইলে তাহার বাসা ছিল । কাতলির বাড়ী নদীতে ভাঙ্গিয়া নিয়াছিল। তারিণী বাবুর শাকরাইলস্থ বাড়ীতেই সেন মহাশয় থাকিতেন। তারিণী বাবুর পিতা স্বৰ্গীয় শিবপ্রসাদ গুপ্ত মহাশয় তারিণী বাবুকে শিশু অবস্থায় রাখিয়া পরলোক গমন করেন। সেন মহাশয় তারিণীর অভিভাবক হইয়া তারিণীর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করেন । তাহাদের একখানা ভাল তালুক ছিল। সেন মহাশয় নিঃসন্তান ছিলেন । তিনি তারিণীকে পুত্রবৎ লালনপালন করিয়াছিলেন । তাহার পত্নী স্বর্গগতা, মাত বরদা সুন্দরী দেবী আদর্শ হিন্দু রমণী ছিলেন। কি স্নেহ মমতা, সরলতা, পবিত্রতা ও পতিপরায়ণতা এই রমণীতে দেখিয়াছি ! সে অাদর্শ এখনকার হিন্দুসমাজে বিরল। আমি যখন টাঙ্গাইল পরিত্যাগে কৃতসঙ্কল্প হইলাম, তখন তারিণী ( আমার স্নেহের ছোট ভাই, তাহাকে তারিণী বাবু বলিতে ভাল লাগে না ) তাহার খুড়া সেন মহাশয়কে আমার বিষয় কি যেন বলিয়াছিল । হঠাৎ এক দিন তারিণী আসিয়া আমাকে তাহার খুড়ার নিকট ডাকিয়া নিল । সেন মহাশয়ের সহিত সেই অমিার প্রথম সাক্ষাৎ আলাপ । সেই উদারহৃদয়, স্মিতান্ত মহাপুরুষকে দেখিয়া ভক্তিতে আমার হৃদয় পূর্ণ হইল। তিনি আমাকে বলিলেন —“শুনিতেছি, এখানে তোমার থাকার অসুবিধার জন্য তুমি এস্থান ছাড়িয়া যাইতেছ, তারিণী তোমার কথা অনেক আমাকে বলিয়াছে। অামি তোমাকে একটী কথা বলিবার জন্য ডাকাইয়াছি । আমি আমার বাসায় তোমাকে