পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:8br ডেপুটীর জীবন । পাতেই পড়িত। আমরা শাকরাইলের বাড়ী গেলেই সমবয়স্ক বন্ধু বালক বা যুবকদের একটী নিমন্ত্রণ জুটিত । এইভাবে কি আনন্দে দিন কাটাইয়াছি তাহা মনে হইলে কৃতজ্ঞতায় প্রাণ ভরিয়া উঠে । এ অকৃত্রিম স্নেহমমতার প্রতিদান কিছুই হয় নাই । প্রতি বৎসর তারিণীদের বাড়ীতে দুর্গোৎসব হইত। আমি পূজার সময় প্রায়ই সেখানে থাকিতাম। বাড়ী যাওয় ঘটিত না। পূজায় তারিণী যে বস্ত্র উপহার পাইত, আমিও তাহা বা তাহা অপেক্ষা ভাল কাপড় উপহার পাইতাম । পূজার সময় তারিণীর বহু প্রজা আসিয়া নিমন্ত্রণ খাইত। সে গ্রামে অনেক বড়লোকের বাড়ীতেও এত খাওয়া দাওয়ার ধুম ছিলনা। তামি টাঙ্গাইল থাকার সময়ই তারিণীর বিবাহ হয় । তখন সে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। শাকরাইল নিবাসী স্বৰ্গীয় তারিণী নিয়োগী মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ কন্যা শ্ৰীমতী শরৎশশী দেবীর সহিত এই বিবাহ হয়। বিবাহের পূর্বে আমিও এই বালিকাকে দেখিয়াছিলাম । তখন র্তাহার বয়স ১২১৩ হইবে । ইনি অতি সুশীলা, কোমলপ্রাণ রমণী স্বামীগৃহে আসার পর আমি তাহার নিকট অনেক সেবা ও দয়া পাইয়াছি । তিনি আমাকে তারিণীর বন্ধু ও জ্যেষ্ঠভ্রাতার চক্ষে দেখিতেন । আমার আহারের জন্যও বালিকাবধুরূপে কত সামগ্ৰী প্রস্তুত করিয়া আমাকে খাওয়াইতেন । ভবিষ্যৎ জীবনেও আমি