পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१ २ ডেপুটীর জীবন। SAASAASAASAAASeeMAAASAASAASAASAAeAeeAeASAeeeeS সম্মতি জ্ঞাপন করিলাম। প্রায় ১ ঘণ্টা পরে, আমাদিগকে আহার করার জন্য অনদরে লইয়া গেলেন । আহারে বসিয়া দেখি, চমৎকার আতপ চাউলের অন্ন, বেগুন ভাজা, উৎকৃষ্ট মুগের ডাল, গোলসা মাছের ব্যঞ্জন, ঘন দুধ প্রভৃতি উপাদেয় স্থখাদ্য সকল আমাদের পাতে পরিবেশিত হইল। অসময়ে ব্রাহ্মণ পরিবারকে ক্লেশ দেওয়ার জন্য আমরা লজ্জা ও দুঃখ প্রকাশের সহিত হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা জানাইলাম। পরে বৈঠকখানা ঘরে ২৩ খান তক্তপোষের উপর পাটী ( মাদুর ) পাতা ছিল, সেখানে শয়ন করিয়া গভীর নিদ্রা উপভোগ করিলাম। প্রথমে ব্রাহ্মণ একটু বিরক্তির ভাব প্রকাশ করিয়াছিলেন ; কিন্তু পরে দেখিলাম, তাহার হৃদয়খানি প্রেমপূর্ণ ও ব্যবহারে অসাধারণ সৌজন্য । আমরা পর দিন আমাদের ধন্যবাদ জানাইয়া তাহার নিকট হইতে গৃহাভিমুখে রওনা হইলাম। অন্য যেসব স্থানে অতিথি হইয়াছিলাম, সৰ্ব্বত্রই সমাদর ও অভ্যর্থনা পাইয়াছি । সেসময়ে হিন্দু পরিবারে অতিথি সৎকার একটা অবশ্য কৰ্ত্তব্য ধৰ্ম্মের কার্য্য বলিয়া পরিগণিত হইত। দুঃখের বিষয়, আজকাল জীবনসংগ্রাম এত কঠোর হইয়া উঠিয়াছে যে, গৃহস্থের পক্ষে পূর্বের মত অতিথি সৎকার আর সম্ভবপর নহে। ধৰ্ম্মভাব এবং পুণ্যসঞ্চয়ম্প্রহাও শিথিল হইয়াছে। গ্রীষ্মাবকাশ সময়ে একবার টাঙ্গাইল ও শাকরাইলও গেলাম। আমার টাঙ্গাইল বাসের জীবন এখন শেষ হইবে । সুতরাং বন্ধুবান্ধবের সহিত কিছু সময় কৰ্ত্তনের জন্য তথায় গেলাম।