পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ অঃ ] শশাঙ্ক । b"> অনুন (১১+১৪) ৩৩ বৎসর। তাহা হইলে “নব্য” শব্দটির আর সার্থকতা কোথায় ? এই সমুদয় বিষয় পৰ্য্যালোচনা করিয়া বোধ হয়, “নব্যাবকাশিক” বারকমণ্ডলের রাজধানী ব্যতীত অপর কিছুই হইতে পারে না। ৩০০ গুপ্তাব্দে বা ৬২৯-৬৩০ খৃষ্টাব্দে উৎকীর্ণ গঞ্জাম-তাম্রশাসনে শশাঙ্ককে “চতুরুদধি-সলিল-বীচি মেখলা-নিলীন সদ্বীপ গিরিপত্তনবতী বসুন্ধরার” সম্রাট বলিয়া অভিহিত করা হইয়াছে। ইহা অত্যুক্তি বলিয়াই মনে হয়। ষষ্ঠশতাব্দীর শেষ ভাগে, যে সুযোগে পশ্চিমদিকে স্থানীশ্বরের প্রভাকর বর্দ্ধন এক অভিনব সাম্রাজ্যের ভিত্তিস্থাপন করিয়াছিলেন, সেই সুযোগে গোঁড়াধিপ শশাঙ্ক পুৰ্ব্বদিকে “লৌহিত্য-নদের উপকণ্ঠ হইতে গহন-তাল-বনাচ্ছাদিত মহেন্দ্রগিরির উপত্যক পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগ বশীভূত করিয়া গৌড়রাজ্য ७००-७२¢ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন” ( ১ )। শশাঙ্কের বহুমুদ্রা বাঙ্গালার নানাস্থানে প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। তন্মধ্যে কতক গুলিতে “শশাঙ্ক’ এবং কতকগুলিতে “নরেন্দ্রগুপ্ত” নাম লিখিত আছে। ডাক্তার বুলার বলেন, তিনি হর্ষ চরিতের একখানি হস্ত লিখিত গ্রন্থে শশাঙ্কের স্থলে নরেন্দ্র গুপ্ত নাম দেখিয়াছেন ; তাহ হইলে শশাঙ্কের অপর নাম যে নরেন্দ্রগুপ্ত এবং তিনি যে গুপ্ত বংশ সন্থত তদ্বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। গুপ্তরাজ-বংশের কোনও খোদিত লিপিতে শশাঙ্কের বা নরেন্দ্র গুপ্তের নাম বা বংশ পরিচয় আবিষ্কৃত হয় নাই । মগধের গুপ্ত রাজবংশের মাধব গুপ্ত হৰ্ষবৰ্দ্ধনের সমসামরিক ছিলেন। “উত্তরকালে যদি কখনও শশাঙ্কের বংশ পরিচয় আবিষ্কৃত হয় তাহা হইলে হয়ত দেখিতে পাওয়া যাইবে যে মগধরাজ্যে শশাঙ্ক নরেন্দ্রগুপ্ত মাধবগুপ্তের পূর্ববৰ্ত্তা রাজা। অনেক সময়ে জ্যেষ্ঠ অপুত্ৰক ( ১ ) গৌড় রাজ মালা ৭-৮ পৃষ্ঠা وي