পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ অঃ } । শশাঙ্ক । Ե-Ց রাজ্য বৰ্দ্ধনের হত্যা এবং বোধি দ্রুম নাশ এই দুইটা কলঙ্ক কালিম শশাঙ্কের প্রতি আরোপিত হইয়াছে। কিন্তু গৌড়রাজ মালার লেখক, বিবিধ যুক্তিজালের অবতারণা করিয়া, এই উভয় অভিযোগই ভিত্তিহীন বলিয়া প্রমাণিত করিয়াছেন। ভাওঁীর, "দেবভূয়ম্ গতে দেবে রাজ্যবৰ্দ্ধনে গুপ্ত নাম চ গৃহীতে কুশ স্থলে,” উক্তি হইতে মনে হয় যে রাজ্যবৰ্দ্ধনের হত্যাকারী গুপ্ত নামধেয় কোন গৌড়াধিপ। পরে এই গুপ্তকে “কুল পুত্র” নামে অভিহিত করা হইয়াছে ; সুতরাং ইনি শশাঙ্ক হইতে অভিন্ন হইতে পারেন না। অথবা “শশাঙ্ক হয়ত আত্মরক্ষার জন্ত রাজ্য. রন্ধনকে নিহত করিয়াছিলেন, হয়ত পিতৃরাজ্য রক্ষার্থ গুপ্ত-বংশ সস্তৃত রাজগণের চিরশত্রু স্থানীশ্বরাধিপতির বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিয়াছিলেন, অথবা তাহার জীবনের অবশিষ্ট্রংশ গৌড়ের স্বাধীনতা রক্ষার জন্তই অতিবাহিত হইয়াছিল। হর্ষবৰ্দ্ধনের সিংহাসন প্রাপ্তির ছয় বৎসর কাল মধ্যে শশাঙ্ক বিজিত হন নাই। হর্ষের রাজ্যাভিষেকের ত্রয়োদশবর্ষ পরেও শশাঙ্ক সম্রাট বলিয়াই পরিচিত ছিলেন। স্থানীশ্বরের অগণিত সেনা তাহাকে গৌড়বঙ্গ হইতে বিতাড়িত করিতে সমর্থ হইলেও পিতৃভূমি পরিত্যাগ করিয়া মহেঞ্জ পৰ্ব্বতের পাদদেশে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াও তিনি স্বীয় গৰ্ব্বোন্নত মস্তক অবনত করেন নাই (১)।” অপসড় গ্রামে আবিষ্কৃত শিলালিপিতে লিখিত আছে যে, মাধবগুপ্ত হর্ষবৰ্দ্ধনের সংসর্গ কামনা করিয়াছিলেন ( ২ )। এই মাধব গুপ্তই হয়ত শশাঙ্কের দুর্দশার কারণ। ( ১ ) প্রবাসী কাৰ্ত্তিক ১৩০৯। (২) "জালে ময় বিনিহত বলিনে শিল্প কৃতাং ন মেন্ত্যপরমিতাবধার্য্য বীর: শ্ৰীহৰ্ষবে নিজ সঙ্গম বাঞ্ছয়া চ” * * *