পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

も* ঢাকার ইতিহাস । [২য় খণ্ড ত্রিংশৎ বৎসর মাত্র হইয়াছিল, এজন্য শিষ্যমণ্ডলী তাহার নবীন বয়স এবং ইনি একাকী এই বিষম তর্কযুদ্ধে জয়লাভ করিতে পরিবেন কিন, এই সমুদয় বিষয় বিবেচনা করিয়া এবং তদীয় প্রাজ্ঞতাসম্বন্ধে সন্দিহান হইয়া ক্ষুণ্ণ হন । আচাৰ্য্য ধৰ্ম্মপাল তাহাদিগের মনোগত ভাব হৃদয়ঙ্গম করিয়া বলিলেন, “কোনও ব্যক্তির ধীশক্তির পরিমাণ করিবার সময় তাহার কয়টি দস্ত উদগত হইয়াছে, তাহার নিৰ্দ্ধারণ করা অনাবশ্যক। আমি সমস্ত অবস্থা পর্যালোচনা করিয়া বুঝিতে পারিয়াছি যে শীলভদ্র এই বিধৰ্ম্মীকে পরাভূত করিতে সমর্থ হইবে। তাহার যথেষ্ট মানসিক বল আছে।” যাহা হউক, বিচারের দিন সমাগত হইলে সভাস্থল লোকে পরিপূর্ণ হইয় উঠে। সে তর্ক-যুদ্ধ দেখিবার জন্য নানা দূর দেশান্তর হইতে যুবক বৃদ্ধ নিৰ্ব্বিশেষে বহুলোক সমবেত হইয়াছিল। প্রথমতঃ দক্ষিণদেশীয় পণ্ডিত বিবিধ কূট-যুক্তিজাল বিস্তার করিয়া জলদ-গম্ভীর-স্বরে স্বীয় মত সকলের ব্যাখ্যা করেন। তারপর শীলভদ্র অপূৰ্ব্ব যুক্তর অবতারণা করিয়া প্রতিদ্বন্দ্বীর সমুদয় মত বাদ খণ্ডন করিয়া দেন। তখন দক্ষিণদেশীয় পণ্ডিত প্রত্যুত্তর প্রদানে অসমর্থ হইয়া লজ্জায় অধোবদনহন। “মগধাধিপতি শীলভদ্রের জয়লাভে সস্তুষ্ট হইয় তাহার গুণের পুরস্কার স্বরূপ একখানি গ্রাম দান করেন। কিন্তু শীলভদ্র রাজদত্ত এই দান গ্রহণ করিতে অস্বীকৃত হইয়া বলিলেন, “যে ব্যক্তি সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করিয়াছে, তাহার অর্থের কোনও প্রয়োজন নাই, সে অল্পেই সস্তুষ্ট, এবং স্বীয় পবিত্রত রক্ষা করিতে সমর্থ, সুতরাং গ্রাম লইয়া আমি কি করিব ?” ইহাতে মগধরাজ উত্তর করেন, "ধৰ্ম্মরাজের তিরোভাব হইয়াছে, জ্ঞান তরণী তরঙ্গে পতিত হইয়াছে; যদি এই সময় পণ্ডিতও মুখে পাথক্য না থাকে, তবে বিদ্যার্থীকে ধৰ্ম্মপথে গমনকালে উৎসাহ প্ৰদান অসম্ভব হইয় উঠবে। অতএব প্রার্থনা করি, এই দান গ্রহণ করুন।" অতঃপর