পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ অঃ ] আদিশূর। మరి গবেষণাপূর্ণ আলোচনা দ্বারা মিঃ স্মিথের উক্তির পোষকতা করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। ইহাদিগের মতে, আদিশূরের ঐতিহাসিক ভিত্তি অতি ক্ষীণ; কারণ পরবর্তী কালে রচিত পরস্পর-বিরোধী কুল গ্রন্থ নিচয় এবং প্রচলিত কিম্বদন্তী ব্যতীত তাহার অস্তিত্বের প্রত্যক্ষ প্রমাণ ও নিদর্শন অদ্যাপি আবিষ্কৃত হয় নাই ; এবং আদিশূরের অস্তিত্ব ভুবনেশ্বরের প্রশস্তিতে উল্লিখিত ভট্ট ভাবের বিষয়ে নানা সন্দেহ বংশ বৃত্তান্তের সহিত আদিশূর কর্তৃক ব্রাহ্মণানয়ন-বৃত্তান্তের সামঞ্জস্ত রক্ষিত হয় না। গৌড় রাজমালায় লিখিত হইয়াছে, “ভবদেব সাবর্ণ গোত্রীয়, তাহার পূর্ব পুরুষগণ সিদ্ধল গ্রামবাণী, এবং তাহার জননী বন্দঘটবংশীয় ছিলেন। সুতরাং ভবদেব যে রাঢ়ি-শ্রেণীর ব্রাহ্মণ ছিলেন, তদ্বিষয়ে আর সংশয় হইতে পারে না। প্রশস্তির রচয়িত, ভবদেবের মুহৃদ বাচস্পতি, যে ইদানীন্তন কালের ঘটকগণের অপেক্ষা ভবদেবের পূর্ব-পুরুষগণ সম্বন্ধে অনেক অধিক খবর রাখিতেন, একথা অস্বীকার করা যায় না। প্রশস্তিতে ভবদেব বালবলভী ভুজঙ্গকে ধরিয়া সাত পুরুষের বিবরণ আছে। প্রশস্তিতে উল্লিখিত প্রথম ভবদেব খৃষ্টীয় দশম শতাদের শেষ পাদে বর্তমান ছিলেন, এরূপ অনুমান করা যাইতে পারে ; এবং এই প্রথম ভবদেব যে গৌড় ৰূপ হইতে হস্তিনী ভট্ট গ্রাম প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তিনি সম্ভবতঃ প্রথম মহীপাল। বাচস্পতি যে ভাবে প্রশস্তির স্বচনায় সিদ্ধল গ্রামবাসী সাবর্ণ গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণের প্রসঙ্গের অবতারণা করিয়াছেন, তাহাতে মনে হয়, যেন স্মরণাতীত কাল হইতে সাবর্ণ গোত্রীয় শ্রোত্ৰীয়ের ভখায় বাস করিতে ছিলেন। এখন যেমন সাবর্ণগোত্রীয় রাঢ়ীয় বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ মাত্রেই আদিশূর জানিত বেদগৰ্ভ বা পরাশর হইতে বংশপরিচয় দিয়া থাকেন, তখন এই প্রবাদ প্রচলিত