পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ ঢাকার ইতিহাস । [ ২য় খণ্ড । জয়াপীড়কে কন্য। সম্প্রদান করিয়াই জামতার সাহায্যে তিনি তখ-কথিত “পঞ্চ গোঁড়াধিপ” গণকে (?) জয় করিয়া আপনার রাজ্যসীমা বিস্তার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। কান্যকুব্জ ইষ্টতে সাগ্নিক ব্ৰাহ্মণ আনয়ন করিয়া বঙ্গ দেশে বৈদিক ধর্থের পুনঃ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা পুও বর্ধনের একজন সামানা রাজা দ্বার সংঘটিত না হইয়৷ "পঞ্চ গোঁড়াধিপ" (?) জয়স্তের পক্ষেই কতকটা সম্ভব পর বলির অনুমান করা যাইতে পারে ; সুতরাং আদিশূর ও জরও অভিন্ন হইলে, জয়ন্তের ব্ৰাহ্মণ আনয়নের ব্যাপার অষ্টম শতাব্দীর শেষ পাদের পূৰ্ব্বে কল্পনা করা যায় না। কিন্তু আমরা জানি যে, কনোজরাজ স্বশেষশ্বদেৰ ৭৫৩ খৃষ্টাব্দেই কাল গ্রাসে পতিত হইয়াছিলেন। যশোবর্ষ তনয় আমরাজ বপভট্ট শুরি কর্তৃক অল্প বয়সেই জৈন ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছিলেন। তিনি যেরূপ জৈনধৰ্ম্মামুরাগী ছিলেন, তাহাতে তিনি যে বৈদিক ধর্শ্বের উন্নতি ও প্রসার কল্পে আদিশূরের সভার সাগ্নিক ব্রাহ্মণ পাঠাইয়াছিলেন তাহ। কখনই সস্তবপর নহে । সম্ভবতঃ যশোবর্ষ্যই এই কার্ধো আদিশূরের প্রধান সহায় ছিলেন। জয়স্তের জামাত কাশ্মীররাজ জয়াপীড়ের পিতামহ ললিতাদিত “বাকপতিরাজ-শ্ৰীভবভূতি” প্রভৃতি কবিগণ সেবিত্ত কনোজাধিপতি যশোবন্মদেবকে সমরে পরাজিত করিয়াছিলেন বলিয় রাজ তরঙ্গিণীতে উক্ত হইয়াছে। সুতরাং জয়ন্ত কর্তৃক বঙ্গে বৈদিক ব্রাহ্মণের প্রতিষ্ঠ যশোবন্মার জীবিতকাল মধ্যে কিরূপে সংঘটিত হইতে পারে ? যশোধক্ষার সম সামরিক "আদিশূর” ললিতাদিত্যের পৌত্র জয়াপীড়ের বহু পূৰ্ব্বেই আবিভূত হইয়াছিলেন। মুতরাং আদিশূর এবং জয়ন্তকে অভিন্ন মনে করিবার যথেষ্ট অন্তরায় রহিয়াছে। গৌড়রাজমালা-প্রণেতার দ্যায় আমরাও বলি, “যতদিন না সমসাময়িক লিপিতে বা সাহিতো জয়স্তের নামোল্লেখ দৃষ্ট হয়, ততদিন জয়ন্ত প্রকৃত ঐতিহাসিক ব্যক্তি, কিন্ম জয়াপীড়ের অজ্ঞাত বাস উপন্যাসের উপনায়ক মাত্র তাহ বলা কঠিন।"