পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অঃ ] তাম্রশাসনের লেখমালা । >89 পরে, আবার লিখিত হইয়াছে, “ইহা হইতে প্রমাণ হয় যে আসরকপুরের তাম্রশাসনের ভূমিদাতা মহারাজ দেবখঙ্গ হর্ষের সমসাময়িক রাজা। ইৎচিঙ্গের বিবরণ পড়িয়া এ বিষয়ে সন্দেহ মাত্র খাকে না” (১)। বন্ধতঃ আসরফপুরের তাম্রশাসনের অক্ষর বিন্যাসের সহিত আদিত্যসেনের সাহাপুর মূৰ্ত্তিলিপি, অপসড় শিলালিপি, বাশখার তাম্রশাসন, এবং গঞ্জাম হইতে আবিষ্কৃত মহাসামন্ত মাধবরাজের তাম্রশাসনের লেখমালা তুলনা করিলে সামঞ্জস্য পরিলক্ষিত না হইয়। বরং বিসদৃশই লক্ষিত হইয় থাকে। আসরফপুর তাম্রশাসনের (“”)রেফ গুলি সৰ্ব্বত্রই অক্ষরের মাথার উপর গ্ৰলম্বমান । কিন্তু বাশখার লিপির সর্বত্র এবং অপসড় লিপির কোনও কোন স্থানে ইহার ব্যতিক্রম দেখা যায়; অনেক স্থলেষ্ট ‘রেফ’ মাত্রার উপরে দেওয়া হয় নাই; যে অক্ষরের সহিত ‘রেফ’ যুক্ত হইবে, সেই অক্ষরের বামদিকে মাত্রার সমস্থত্রে একটি ক্ষুদ্র রেখা মাত্র টান হইয়াছে। বাশখার লিপির স” এর নীচের দিকের বামকোণের বক্রাগ্রভাগ বড়শীর হায় ; কিন্তু আসরফপুর লিপিতে “স” এর ঐ স্থানটি চ্যাপট, সুতরাং রেখাগুলি পরম্পর সংলগ্ন না হওয়ায় মধ্যে ফঁাক রহিয়াছে। আবার বাশখার লিপিতে, এই কক্রস্থান হইতে ষে রেখাটি দক্ষিণদিকের প্রলম্বমান রেখার সহিত মিলিত হইয়াছে, তথায় একটি কোণের স্বষ্টি করিয়াছে ; কিন্তু আসরফপুর তাম্রশাসনে এই রেখা অৰ্দ্ধবৃত্তাকারে অগ্রসর হষ্টয়াই প্ৰলম্বমান রেখা স্পর্শ করিয়াছে। অপসড় ও বাশখার লিপির “গ” এর নীচের দিকে বামকোণের বক্র টানটির অভাব আসরফপুর লিপিতে পরিলক্ষিত হয় ; প্রাচীনকালের লিপির জায় ইহার উপরিভাগ সরল রেখাকৃতি না (১) প্রতিভা ১৩২১ চৈত্র ৩৮২ পৃষ্ঠা ।