S88 ঢাকার ইতিহাস । [ ২য় খণ্ড । হইয়। গোলাকৃতি ধারণ করিষ্কাছে এবং সপ্তম শতাব্দীর অক্ষরে যেরূপ কীলকের আকার দৃষ্ট হয়, আসরফপুর তাম্রশাসনে সেরূপ দৃষ্ট হয় না। আসরফপুর লিপির “খ” এর ৰামদিগের বক্রাংশ অপসড় লিপিতে পরিলক্ষিত হয় না। অপসড় লিপির "ন" বর্তমান দেবনাগর অক্ষরের অনুরূপ, পক্ষান্তরে আসরফপুর লিপির “ন’ এর ডানদিকের প্রলম্বমান রেখা বিলুপ্ত। বাশখার লিপির "য" এর নীচের দিকে বামকোণের অৰ্দ্ধবৃত্তটি একটু বেশী গোলাকার, বামদিকের উপরের রেখাটি ও মাত্রা হইতে ঋজুভাবে এই অৰ্দ্ধাবৃত্তের সহিত মিলিত হইয়াছে ; আসরফপুর লিপির “য” এর এই অৰ্দ্ধবৃত্তটি ডিম্বাকার, বামদিকের উপরের রেখাটিও মাত্র হইতে বক্রভাবাপন্ন হইয়াই নিম্নস্থ অৰ্দ্ধবৃত্তের প্রাপ্তদেশ স্পর্শ করিয়াছে। আসরফপুর লিপির "শ" এর উপরিভাগ বাশখার ও অপসড় লিপির “শ” উপরিভাগের স্থায় চ্যাপট না হইয়া পোলাকৃতি ধারণ করিয়াছে। আসরফপুর লিপির "স্ব" এর ডিম্বাকার স্থানদ্বয়ের মধ্যে ফাক নাই, কিন্তু অপসড় লিপিতে “খ” এর এই ফাকটি অনেক বেশী । ৭ম শতাব্দীর অক্ষরের স্থায় “প”, “ম”, “খ”, “ষ” “গ” এর উপরিভাগ খোল হইলেও ব্যঞ্জন বর্ণের সহিত সংযুক্ত ( t ), ( f ), ( ), ( ে), (tে ) প্রাচীনকালের স্কার মাত্রার উপরে না হইয়া, পরবর্তী কালের স্থায় মাত্রা হইতে প্ৰলম্বমান । আসরফপুর লিপির একার দামোদর গুপ্ত প্রণীত “কুটনীমতম্” নামক হস্ত লিখিত পুথিতে ব্যবহৃত একারের অনুরূপ। জাপগড় লিপির “জ” পুরাতন ঢঙ্গের, পক্ষাত্তরে আসরফপুর তাম্রশাসনের জ”, “ত”, -ট”, “র” ও “ল” সপ্তম শতাব্দীর বহুপরবর্তী কালের যলিয়াই প্রতীয় মান হয়। ইহুধের মধুবন ও বাশখার লিপি, শ্রীহট্টের পঞ্চখণ্ড হইত্তে আবিষ্কৃত ভাস্করবর্ধার লিপি, আদিত্যসেনের অপসড় শিল্t
পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।