ধৰ্ম্মপালের সময় নিরূপণ । ›ፃዊት ঐযুক্ত অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় মহাশয় লিখিয়াছেন, (১) উপরোক্ত দুইটি শ্লোকে "ধৰ্ম্মপালের শাসন সময়ের দুইটি উল্লেখ যোগ্য ঐতিহাসিক টন স্বচিত হইয়াছে বলিয়া বোধ হয়। একটি ঘটনা কান্তকুস্তাধিপতি ੋਸ਼ (মহেন্দ্র ) নামক নরপতির ধৰ্ম্মপালের হস্তে পরাভব ; অপর ঘটন। মহেঞ্জের রাজ্যে ধৰ্ম্মপাল কর্তৃক চক্রায়ুধ নামক সামন্ত নরপালের জিভিষেক। মহেন্ত্র ধৰ্ম্মপালকে অসংখ্য সেনাবল লইয়া অগ্রসর হইতে দেখিয়, যুদ্ধে পরাভব অনিবাৰ্য্য মনে করিয়া, এতদূর বিহ্বল হইয়াছিলেন যে, ধৰ্ম্মপালের অসংখ্য সেনাবল যুদ্ধার্থ উৎসুক থাকিলেও, তাহাদিগকে রণশ্রম স্বীকার করিতে হয় নাই,—ধৰ্ম্মপাল রাজধানীতে উপনীত হইবামাত্রই তাহ অধিকার করিতে পারিয়াছিলেন।” পূৰ্ব্বোক্ত শ্লোক হইতে প্রতীয়মান হয় যে ভোজ মৎস্তাদি দেশের রাজন্তবর্গ, কান্তকু জপতি চক্রায়ুধের রাজ্যাভিষেক কালে, প্রণতি-পরায়ণ-চঞ্চলাবনত-মস্তকে, সাধুবাদ প্রদান করিয়াছিলেন, স্বতরাং ইন্দ্রায়ুধকে পরাজিত ও সিংহাসন চু্যত করির কান্তকুজের সিংহাসনে চক্রাযুদ্ধকে প্রতিষ্ঠাপিত করিবারু পূর্কেই ধৰ্ম্মপালকে কাঙ্গড়, তুরুষ্ক, পঞ্চনদ এবং রাজপুতনা প্রভৃতি প্রদেশ জয় করিতে হইয়াছিল। “ধৰ্ম্মপাল কান্তকুজের স্বাধীনতা হরণ করিয়াও, তাহার জন্য একজন স্বতন্ত্র রাজা নিযুক্ত করার কান্তকুজ পুণরায় রাজশ্ৰী প্রাপ্ত হইয়াছিল” (২ )। ইহাতে মনে হয়, শাসন সৌকর্য্যার্থই—সম্ভবতঃ ধৰ্ম্মপাল চক্রায়ুধকে স্বীয় সামস্ত-রাজরূপে কান্তকুজের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। (১) গৌড় লেখমালা ২১ পৃষ্ঠা, পাৰ টকা। (২) নারায়ণ পালের ভাগলপুর তাম্রশাসনে এই ঘটনাটি জারও স্পষ্ট করিয়া উল্লিখিত श्रेंग्रांप्इ । ১২
পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।