পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অঃ ] উপক্রমণিকা । q বুকাইত। প্রসিদ্ধ ভাষাতত্ত্ববিদ গ্রিয়ারসন সাহেব বঙ্গভাষার আলোচনা প্রসঙ্গে নিয়োস্থত মন্তব্য প্রকটিত করিয়াছেন, “ইহা নিম্নবঙ্গ বা ব-দ্বীপের ও তৎসংলগ্ন প্রদেশের ভাষা। সংস্কৃতে পূৰ্ব্ব ও মধ্যবঙ্গই বঙ্গ নামে প্রখ্যাত, কিন্তু অধুনা যতদূর বঙ্গভাষী কথিত হয়, বঙ্গলমূ সেই সমুদয় স্থানই বাঙ্গালা নামে অভিহিত হয়। ইংরাজী "বেঙ্গল” হইতে "বেঙ্গলী” নামের উদ্ভব হইয়াছে। “বঙ্গলমৃ” শব্দ তাপ্পোর হইতে প্রাপ্ত একাদশ শতাব্দীতে উৎকীর্ণ একটি প্রশস্তিতে উল্লিখিত হইয়াছে। ইহা হইতেই আত্বি ভাষায় “বাঙ্গালার” স্মৃষ্টি হইয়াছে । আরবিক হইতে পারস্ত ভাষায় ইহা প্রবেশ লাভ করে। আইন-ই-আকবরী" গ্রন্থে আবুল ফজল লিখিয়াছেন, "নামি আসলি বাংলt বঙ্গ" অর্থাৎ বাঙ্গালার প্রকৃত নাম বঙ্গ (১ ) । নী-মাতৃক পূৰ্ব্ব-বঙ্গের অধিকাংশ স্থানই গঙ্গা, ব্ৰহ্মপুত্র প্রভৃতি নদনদীর জলরাশি দ্বারা প্লাবিত হইত ; এবং অধিবাসীগণ উচ্চ “আল” বাধিয়া জলপ্লাবন হইতে দেশ রক্ষা করিতে যত্নবান হইত ; ভজন্তই প্রথমে বঙ্গ+আল হইতে বঙ্গাল এবং পরে বঙ্গালা ও বাঙ্গালা নামের উৎপত্তি হইয়াছে। উক্ত সিদ্ধান্ত প্রথমে আবুল ফজল কর্তৃক প্রচারিত হয়। আধুনিক সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতগণ আবুল ফজলের এইমত স্বীকার করেন না। তাহাদিগের মতে, বঙ্গ+আলয় হইতে প্রথমে বঙ্গালয় শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে, এবং ক্রমে অপভ্রংশে বঙ্গাল, বঙ্গালা ও বাঙ্গালাতে রূপান্তরিত হইছে। পূজ্যপাদ মহামহোপাধ্যায় ঐযুক্ত হয়প্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলেন,—“যখন বঙ্গাল শব্দটা বাঙ্গালা রূপ ধারণ (>) Linguistic Survey of India, Vol. V part I. Edited by G. A. Grierson Esq., C. I. E.