পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অঃ ] মহীপাল (১ম)। ২৩১ জেলায় ) “সাগর দাবি" এবং বরেত্রে (দিনাজপুর জেলায় ) “মহীপাল দীখি” অস্থাপি মহীপালের পরহিত নিষ্ঠার পরিচয় দিতেছে। তিনটি সুবৃহৎ নগরের ভগ্নাবশেষ—বগুড়া জেলার অন্তর্গত “মহীপুর", দীনাজপুর জেলার “মহীসন্তোস" এবং মুর্শিদাবাদ জেলার “মহীপাল,”—মহীপালের নামের সহিত জড়িত রহিয়াছে" (১)। দক্ষিণ বিক্রমপুরের অন্তর্গত মহীসার গ্রাম এবং মঙ্গীসারের বিপুলায়তন দার্থিক প্রথম মহীপাল দেবেন্ধই অন্যতম কীৰ্ত্তি বলিয়া মনে হয়। বহুকাল হইতে বিক্রমপুরে দুইটি কালীক্ষেত্র পীঠস্থানবৎ পুজিত হইয়া আসিতেছে। তন্মধ্যে একটি চাচুর তলার “ঠারিণ বাড়ী” অপরটি মহীসারের দিগম্বর বাড়ী বলিয়া প্রসিদ্ধ। প্রবাদ যে মহীসারে চাদ কেদার রায়ের গুরু গোসাই ভট্টাচাৰ্য্য সিদ্ধিলাভ করেন (২) । বিক্রমপুেরর মধ্যে মঙ্গীসার এক প্রাচীনতটম স্থান । এইস্থানের মুক্তিক খননকালে প্রায়ই ইষ্টকাদি এবং দেবদেবীর মূৰ্ত্তি প্রাপ্ত হওয়া যায় । পাঠের বিশুদ্ধি সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছেন, বেগুলের বাধাও গ্রহণ করেন মাই । “গোঁড়ধ্বজ” বা গোঁড়রাজ্যের পতাকা অর্থে গোঁড়াধিপকেই বুঝাইতে পারে। চেঙ্গার কলচুরী বংশীয় কোনও রাজা কর্তৃক কখনও গোঁড়াধিপ উপাধি ধারণের প্রমাণ বিদ্যমান নাই। চেঙ্গীরাজ গাঙ্গেয় দেবের সময়ে মগধ যে গোঁড়াধিপ মহীপালের পদালিত ছিল, তাহার প্রমাণ আছে, এবং মগধের পশ্চিমদিগবর্তী জেজাভুক্তি (বুন্সেল খণ্ড ) চন্সের রাজগণের অধিকৃত ছিল । সুতরাং মগধও জেজীভুক্তি ভিঙ্গাইয়া, চৌরাজের পক্ষে মিথিলায় কল্যান বিজয় রাজা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নহে। নেপালী লেখক কর্তৃক উল্লিখিত এই মোমবংশীয় গঙ্গেয় দেব হয়ত মিথিলার একজন সামন্ত নয়পাল ছিলেন” গাঁড়রাজমাল। ৪২ পৃষ্ঠা । রাপাল বাৰু কোনও পূক্তি প্রদর্শন না কবিয়াই এই আপত্তিকে স্বস্থা বলিয়া বেণ্ডলের মতানুসরণ করিয়াছেন ১ ) গৌড় রাজমালা ৪১-৪২ পৃষ্ঠা ; (২) বাৰভূঞা এজনৰ নাথ রায় প্রণীত ১১ পৃষ্ঠা।