পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ ঢাকার ইতিহাস । [ ২ খণ্ড জৰগ্ৰহ চিহ্ন আদৌ ব্যবহৃত হয় নাই। কিন্তু শ্ৰীচন্দ্রের শাসনে কোনও কোনও স্থানে অবগ্রহ চিহ্ন ব্যবহৃত হইয়াছে, কোনও কোনও স্থানে হয় নাই । এই সমস্ত কারণে, এই লিপির কাল যেন বৰ্ম্মরাজগণের লিপিকালের অব্যবহিত পরে, এবং সেনরাজগণের লিপিকালের অব্যবহিত পূৰ্ব্বে নির্দেশ করা যাইতে পারে। অর্থাৎ সেনরাজ বিজয়সেন দেবের বিক্রমপুর অধিকার করিবার পূর্বে এবং বৰ্ম্মরাজ হরিধৰ্ম্মদেবের পুত্রের রাজ্যনাশের পরেই ত্ৰৈলোক্যচন্দ্রের পুত্ৰ শ্ৰীচন্দ্র বিক্রমপুরে স্বাতন্ত্র্য অবলম্বনপূৰ্ব্বক কিছুকালের জন্য এক অভিনব বৌদ্ধরাজ্য সংস্থাপিত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। • * ভোজবৰ্দ্ধদেব এবং তৎপরবত্তী বৰ্ম্মরাজগণ শেষ পাল রাজগণের সময়েই বিক্রমপুর হইতে বঙ্গ রাজ্যশাসন করিতেন । এদিকে স্বাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে রামপাল দেবের তমুত্যাগের পর, তৎপুত্ৰ কুমারপালদেব বরেঞ্জভূমিতে (রামাবতী নগর হইতে ) রাজ্যশাসন করিতেছিলেন। কুমার পাল দেবের সময় হইতেই পাল-সাম্রাজ্যের বন্ধন বিৰটিত হইয় অসিতেছিল। কুমার পাল দেবের প্রধান সহায় ছিলেন প্তাহার সচিব ও সেনাপতি বৈদ্যদেব । এই সময়ে রাজ্যে বিদ্রোহ উপস্থিত হইল, “বৈদ্যদেবই অনুত্তরবঙ্গে” অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গে নৌবল লইয়। বিদ্রোহ দমনে সমর্থ হইয়াছিলেন। এই ঐতিহাসিক তথ্য আমরা তায় (কমেীলীতে প্রাপ্ত ) তাম্রশাসনে উল্লিখিত দেখিতে পাই। বৈদ্যদেব কর্তৃক এই দক্ষিণবঙ্গের বিদ্রোহবহ্নি নিৰ্ব্বাপিত হইলেই হয়ত পালরাজ সৰ্ব্বগুণ-বিমণ্ডিত বৌদ্ধ ত্ৰৈলোক্যচন্দ্রকে উপযুক্ত পাত্ৰ মনে করিয়া, চন্দ্রদ্বীপের সামস্তরূপে নিযুক্ত করিয়া "নৃপতি" উপাধিতে ৰিভূষিত করিয়া থাকিবেন। এই বিদ্রোহ সময়েই হয়ত চজৰীপ বঙ্গরাজ্য হইতে বিচ্ছিন্ন হুইয়া পড়িয়াছিল, এবং এই সময় হইতেই হন্থত বৰ্ম্মরাজগণের ছুদিন উপস্থিত হইয়া থাকিবে , পূৰ্ব্বেই