পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩শ অঃ ] সমতট বঙ্গে বৌদ্ধধৰ্ম্ম । 8న్సరి ছিলেন এবং প্রথমোক্ত সঙ্কীর্ণ পন্থী সম্প্রদায়কে ইহার “হীনান” নামে অভিহিত করিতেন। ক্রমে ক্রমে মহাযান সম্প্রদায় মধ্যেও বিভিন্ন মতবাদের স্বষ্টি হইয়া “যোগাচার” ও “মাধ্যমিক দলের উদ্ভব হইল। মাধ্যমিক সম্প্রদায় শূন্তবাদ প্রচার করিয়াছিলেন। ক্রমশ: এই সম্প্রদায় মধ্যে বুদ্ধদেবের মুৰ্ত্তিপূজারও ব্যবস্থা হইয়াছিল ; এবং ক্রমে ক্রমে বোধিসত্ব ও তারাগণের বিবিধ মুৰ্ত্তি, ও বর্ণ এবং বাহনও কল্পিত হইয়াছিল। এই মাধ্যমিক সম্প্রদায় আবার “মন্ত্রযান,- “কালচক্র যান” ও “বজ্রযান" নাম থ্যাতিলাভ করিয়াছে এবং ইহা হইতেই তান্ত্রিক বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিকাশ হইয়াছিল। মাধ্যমিক পন্থীগণের উন্নত ভাব ও চিন্তা বৌদ্ধধৰ্ম্ম ও সমাজকে যে উন্নত ও উদার করিয়াছিল তদ্বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। হিন্দু দেব দেবীর উপর বিশ্বাস ও সন্মান প্রদর্শন জস্ত ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মামৃষ্ঠানকারীগণমহ্যানীয় শ্রমণগণকে ভ্রাতৃভাবে আলিঙ্গন করিয়াছিল। হীনযান ও মহাযান সম্প্রদায়ের মধ্যে ধৰ্ম্মমত লইয়া বিরোধ থাকিলেও বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সঙ্ঘ এই ত্রিরত্বের সন্মান উভয় সম্প্রদায়ই সমভাবে করিতেন। কালক্রমে এই ত্রিরত্নও মুৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়াছিল। বুদ্ধের বামপার্থে স্ত্রীবেশে ধৰ্ম্ম এবং দক্ষিণ পার্শ্বে পুরুষবেশে সত্যকে প্রতিষ্ঠাপিত করিয়া ত্রিরন্থের পূজার অনুষ্ঠান আরম্ভ হইয়াছিল। বৌদ্ধদিগের মধ্যে বৈদিক দশবিধ সংস্কার প্রচলিত ছিল। - “যে বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিতত সহস্রশাখ বৃহৎ বনস্পতির ন্তায় সমগ্র এসিয়ার মুক্তিকামী জনগণকে আশ্রয় প্রদান করিয়াছিল, তাহার প্রচার কেজের উপকণ্ঠে, সমতট বঙ্গে, ৰে তাহার প্রভাব পূর্ণমাত্রায় প্রকটিত হইয়াছিল। তষিয়ে কোনও নাই। দিব্যাবদান গ্রন্থ হইতে জানা যায়, দেবতাদিগের প্রিয় প্রিয়দর্শী অশোক ভারতের বিভিন্ন স্থানে ৰৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠা জ্ঞাপক যে চতুরণিতি সহস্ৰ ধৰ্ম্ম রাজিক প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, ব্রাহ্মণ্য